বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি @shopon700 🇧🇩 বাংলাদেশ থেকে। অনুগল্প লিখতে আমার খুবই ভালো লাগে। তাই যখন গল্প লিখতে ইচ্ছে করে তখনই বসে পড়ি গল্প লিখতে। তো বন্ধুরা চলুন আমার আজকের অনুগল্প পড়ে নেয়া যাক। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।

রাতের তারা গুলোর মত সুমনা নিজেকে একা মনে করছে। রাতে তারা গুলো যেমন একজন আরেকজনের সাথে দূরত্ব বজায় রেখেছে তেমনি সুমনা আর শিহাব ভালোবেসেও এক হতে পারেনি। হয়তো তাদের ভালোবাসা না বলাই ছিল। শিহাব সুমনাকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করত। কিন্তু কখনো বলতে পারেনি। শিহাব আর সুমনা একই ক্লাসে পড়তো। সেই সুবাদে তাদের বন্ধুত্ব অনেক ভালো ছিল।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে শিহাব চলে যায় শহরে। আর সুমনার বিয়ে হয়ে যায়। মোবাইল ফোনেই নাকি তার বিয়ে হয়েছে। স্বামী প্রবাসে থাকে। প্রবাস থেকে ফিরে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে। হঠাৎ করে সুমনার বিয়ের খবর শুনে শিহাব খুবই কষ্ট পায়। কারণ শিহাব মনে মনে সুমনাকে অনেক ভালোবাসতো। কিন্তু কখনো বলতে পারেনি।

এভাবে কেটে যায় কয়েক বছর। সুমনা তার স্বামীর সাথে মাঝে মাঝে কথা বলতো। ভালোই কাটছিল তার দিনগুলো। দুজনের মাঝে দূরত্ব ছিল কিন্তু ভালোবাসার কমতি ছিল না। একদিন হঠাৎ করে সুমনা দেখতে পেল তার স্বামী কোনোভাবেই ফোন রিসিভ করছে না। অনেক চেষ্টা করেও সুমনা তার স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। কি করবে ভেবে পাচ্ছিল না। কেটে যায় প্রায় একটি দিন। হঠাৎ ভোর রাতে ফোন আসে। ফোন রিসিভ করতেই একজন বলে ওঠে আপনার স্বামী আর এই পৃথিবীতে নেই। অসুস্থ হওয়ার কারণে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

সুমনা তার স্বামীকে হারিয়ে ফেলল। শ্বশুর বাড়ির সবাই তাকে অপয়া অপবাদ দিল। সবার অপবাদ মাথায় নিয়ে মেয়েটি নিজের ঘরে ফিরে এলো। বাবার বাড়িতে ঘরবন্দী সময় কাটাতে শুরু করলো। সুমনার জীবনে ঘটে যাওয়া সবকিছু জানার পর শিহাব সুমনার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সুমনাকে তার ভালোবাসার কথা বলেছিল। সুমনা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। সে তার ছন্নছাড়া জীবনে আর কাউকে জড়াতে চায় না। হয়তো সুমনাও তাকে ভালোবেসে ছিল। কিন্তু বলতে পারিনি।