'মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরে কিছু সুন্দর মুহূর্ত পর্ব: ১'

in hive-129948 •  last month  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণ পর্ব উপস্থাপন করছি। আশা করি, আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।



দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে আমি আর ডিপ্রো দাদা দুজনে যেয়ে থাকি। কিন্তু বেশ কিছুদিন আমরা দূরে কোথাও ঘুরতে যাইনি। বাড়িতে বসে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছিল। একদিন দাদা আমাকে বলল চলো কোথাও ঘুরে আসি। তখনও কোন প্লান ছিল না কোথায় যাব। পরবর্তীতে দাদাই বলল মায়াপুরে জগন্নাথ মন্দিরের যাওয়ার কথা। আমিও না করলাম না কারন আমারও অনেকদিন ধরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল মায়াপুর জগন্নাথ মন্দিরে।আমরা মঙ্গলবার যাওয়ার দিন ঠিক করলাম। মঙ্গলবার আমি নিরামিষ খেয়ে থাকি আমার পক্ষে খুব সুবিধা হয়েছে। যাই হোক, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে আমরা বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।সকালে বের হবার কারণটা হলো আমাদের বাড়ি থেকে মায়াপুরে যেতে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পারি দিতে হবে আবার সেখানে ঘোরাঘুরি করে আবার ফিরেও আসতে হবে। তাই আমরা একটু সকাল সকাল বের হবার চেষ্টা করলাম। রাস্তা মোটামুটি ফাঁকা ছিল তেমন কোন সমস্যা হয়নি দু'ঘণ্টার ভিতর আমরা পৌঁছে যাই মায়াপুরে।


আমরা গাড়ি পার্কিং করে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করলাম। মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতেই মনের ভেতর একটা শান্তি অনুভব করতে লাগলাম। প্রতিদিন এখানে হাজার হাজার ভক্তরা আসা-যাওয়া করে। সব সময় মন্দিরের ভিতরে ঈশ্বরের নাম ধ্যান চলতে থাকে। আমার একটি সমস্যা আছে আমি যেখানে যাই সব সময় আগে খাওয়ার চিন্তাটা বেশি করে থাকি। কারণ পেটে যদি খাবার থাকে তাহলে সবকিছুই ভালো লাগবে। মন্দিরে প্রসাদের ব্যবস্থা রয়েছে বিনামূল্যে প্রসাদ গ্রহণ করা যাবে আবার কিছু টাকা দিয়ে টিকিট কিনেও প্রসাদ গ্রহণ করা যাবে দুটোই ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা টিকিট কেটেই প্রসাদ গ্রহণ করার চিন্তাভাবনা করলাম। কারণ বিনামূল্যে প্রসাদ নিতে অনেকটা ভিড়ের সম্মুখীন হতে হবে। তাই টিকিট কেটে প্রসাদ নেওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম। দাদাকে বললাম আগে খাওয়া-দাওয়া করি তারপর ঘোরাঘুরি করা যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ আমরা চলে গেলাম প্রসাদ গ্রহণ করার জন্য। খেতে যেয়ে দেখি এখানে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে কি আর করার দাড়িয়ে পড়লাম লাইনে। কিছুক্ষণ পর আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম ভেতরে পরিবেশটা খুব শান্তশিষ্ট ছিল আর এখানে দেখলাম হাজার হাজার মানুষ প্রসাদ গ্রহন করার জন্য বসে রয়েছে।


প্রসাদ গ্রহণ করার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আমরা ঘুরতে শুরু করলাম।দুঃখের বিষয় হলো মন্দিরের ভিতর প্রবেশ করতে হলে মোবাইল, ক্যামেরা রেখে তারপরে যেতে হবে তাই মন্দিরের ভিতরের ছবিগুলো তুলতে পারলাম না। মন্দিরের ভেতরের পরিবেশটা এত সুন্দর ইচ্ছা করছিল সারা জীবন এখানেই থেকে যাই। আর এখানে প্রত্যেকটা মানুষের ব্যবহার খুবই সুন্দর ছিল। তাদের মুখের বাক্য এত শ্রুতি মধুর যে মন চায় তাদের সঙ্গে কথা বলতেই থাকি। মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করেই একটা জিনিস বুঝতে পারলাম এখানে যারা রয়েছে তারা সব সময় ঈশ্বরের নাম করছে। আমাদের মতন তারা জীবন-যাপন করে না আমাদের মতন তারা প্যান্ট শার্ট পরিধান করে না। তাদের পরনে রয়েছে সাদা ধুতি গেরুয়া বসন হাতে রয়েছে যবের মালা। তাদেরকে দেখলেই মাথা নত হতে বাধ্য। তাদেরকে দেখলে মনে হয় তারা খুবই আনন্দে রয়েছে মুখ ভরা হাসি শ্রুতি মধুর কথা। যাই হোক, বাইরে এসে মন্দিরের সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি করলাম সেগুলো আমি নিচে প্রকাশ করছি।

IMG20250603141043.jpg

IMG20250603141145.jpg

IMG20250603140437.jpg

IMG20250603140704.jpg

IMG20250603131956.jpg

IMG20250603131729.jpg

IMG20250603130130.jpg

ক্যামেরা পরিচিতিoppo
ক্যামেরা মডেলoppo A79 5G
ক্যামেরা দৈর্ঘ্য4.05mm
তারিখ০৩.০৬.২০২৫
সময়০২.১৩মিনিট
স্থানমায়াপুর



মন্দির প্রাঙ্গণে ঘুরতে ঘুরতে আমরা দেখতে পেলাম পাশে একটি আমবাগান। এই আম বাগানে সবাই বিশ্রাম নিচ্ছে আমরা ভাবলাম একটু বিশ্রাম নেওয়া যাক। এই মন্দিরটি অনেক জায়গা জুড়ে অবস্থিত ভিতরে সবকিছু পাওয়া যায়। মন্দিরের ভেতর প্রবেশ করলে আপনাকে কোন কিছু কেনার জন্য বাইরে যেতে হবে না। এখানে দোকান রয়েছে মাল রয়েছে স্কুল রয়েছে কলেজ রয়েছে হাসপাতাল রয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কত বড় জায়গা জুড়ে মন্দিরটি অবস্থিত। আর এখানে সম্পূর্ণ মন্দিরটি দেখাশোনা করে থাকে ইসকন সম্প্রদায়ে মানুষ। যাইহোক,দোকান থেকে একটি জলের বোতল কিনে নিয়ে আমবাগানে বসে ঘন্টা দই বিশ্রাম করলাম।

আজ এখানে শেষ করছি। সবাই খুব ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সৃষ্টিকর্তার কাছে এটাই প্রার্থনা করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!