অনেকদিন পর কলেজ মাঠে গিয়েছিলাম।

in hive-129948 •  3 days ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৫ শে জুলাই,শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000057883.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।

ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি নানা ধরনের জেনারেল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিতে আমার খুব ভালো লাগে। আজকে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। যেহেতু আমি কুষ্টিয়া শহরে থাকি তাই কুষ্টিয়া শহরের চেনা পরিচিত জায়গাগুলোতেই বারবার যায়। আমি এখনো অতটা বড় হয়নি যতটা বড় হলে কুষ্টিয়ার বাইরে কোথাও একা একা যেতে দেবে। পড়াশোনার শোভাতে মেসে থাকি। মাঝে মাঝেই বিকেল বেলা মন খারাপ করলে ছুটে যাই চির চেনা জায়গা গুলোতে। যেমন নদীর ধার, লালন শাহের মাজার, কুষ্টিয়া কলেজ মাঠ ইত্যাদি জায়গায়। প্রায় ছয় মাস পরে সেদিন এক বন্ধুর সাথে সন্ধ্যাবেলায় কলেজ মাঠে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেই মুহূর্তে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।



1000057884.jpg
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের মাঠ। কুষ্টিয়াবাসীর কাছে চিরচেনা একটি জায়গা। যারা কুষ্টিয়ার শহরে এসে কোথাও যায়নি তারাও এই সরকারি কলেজ মাঠে গিয়েছে। আগেই কলেজ মাঠ সব সময় একটা আমেজে মেতে থাকতো। এখন কেন যেন সেই আমেজটা আর পাওয়া যায় না। কেমন নিস্তব্ধ লাগে জায়গাটা। কি জানি অনেকদিন পরে গেলাম বলে এমনটা মনে হচ্ছে কিনা বুঝে পায়না। তবে জায়গাটা আর আগের মত শান্তি দেয় না। এখন যেন কেমন একটা ভয় কাজ করে।

1000057885.jpg
সেদিন বিকেল বেলায় হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত হল বাইরে যাব। প্রথমে গিয়েছিলাম মার্কেটে। সেখান থেকে জিনিস কেনাকাটা করে। একটা রিকশা নিয়ে চলে এসেছিলাম সরকারি কলেজ মাঠে। সেখানকার এক মামার ঝালমুড়ি আমার ভীষণ প্রিয়। আমি সেখানকার ঝালমুড়ি ছাড়া খাইনা। তাই ঝাল মুড়ি খেতে গিয়েছিলাম। প্রথমেই গিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম কলেজ মাঠে। সেদিন বৃষ্টি ছিল তাই মাঠের মধ্যে যেতে পারিনি। আর লোকজন না থাকলে সেদিকে যেতে আমার ভয় ভয় লাগে। তাই আমরা সোজা রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করলাম।
1000057886.jpg
তারপর মামার দোকান থেকে ঝাল মুড়ি খেলাম। কলেজ মাঠে ঘুরতে গেলে এই ঝাল মুড়ি খাওয়া একদিনও মিস করা যাবে না। এখানকার ঝালমুড়ি আমার অনেক প্রিয়। ঝাল মুড়ি খাওয়ার পরে আমরা কলেজ মাঠ থেকে বের হয়ে আসলাম। কলেজ মাঠের সামনে রাস্তা দিয়ে অনেক ফুড কার্ড রয়েছে। এখানে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়। সেদিন পেটটা ভরা ছিল কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না। তারপরে ফাস্টফুড দেখলে আমার আবার লোভ লাগে। ঘোরাঘুরি করতে করতে একটি ফুড কাটে মিনি বার্গার এবং বিভিন্ন ধরনের আইটেম দেখতে পেলাম। তারপর সেখান থেকে দুজন দুটো মিনিট বার্গার কিনলাম। বার্গারেট টেস্ট ভালো ছিল বলব না তবে একবারে খারাপও ছিল না।
1000057887.jpg
বার্গার খাওয়া শেষ করে। সেখান থেকে চলে আসব ভাবলাম। যেহেতু বৃষ্টির দিন ছিল তাই কেমন যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল শহরটা। শহর ফাঁকা ছিল না আসলে অন্যদিনের তুলনায় একটু ফাঁকা লাগছিল। তারপরে একটা কোক কিনলাম। কোকানোর সময় আমার বন্ধু আমার জন্য একটা আইসক্রিম নিয়ে এসেছিল। আমি আইসক্রিম খেতে ভীষণ পছন্দ করি। কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমার খুব পছন্দের।
1000057888.jpg
আইসক্রিমটা আর রাস্তায় খেলাম না। দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে রুমের দিকে রওনা দিলাম। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গল্প করতে করতে আমি আমার মেসে পৌঁছালাম। আমার বন্ধু আমাকে পৌঁছে দিয়ে সে তার বাড়ির দিকে চলে গেলেন। রুমে এসে আইসক্রিমটা খেয়েছিলাম। মাঝে মাঝে বাইরে বের হলে মনটা একটু ফ্রেশ লাগে। পড়াশোনায় ভালো মন বসে। অনেকদিন পর বাইরে একটু ঘোরাঘুরি করে বেশ ভালো লাগছিলো।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২১ শে জুলাই ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

@tipu curate

;) Holisss...

--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.