কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
বৃষ্টি আমাদের সবারই খুব পছন্দ। এমন কোন মানুষ নেই যার বৃষ্টি দেখলে আবেগ অনুভূতি জেগে ওঠে না। বৃষ্টি দেখলেই মনে একটা অন্যরকম ভালোলাগা আনন্দ অনুভব হতে থাকে। বৃষ্টির জলে নিশ্চয়ই একটা জাদু আছে নইলে আমাদের মনে এমন সুন্দর একটা আবেগ অনুভূতি কি করে জাগিয়ে তুলতে পারবে। আমাদের এই পৃথিবীতে এত পরিমান জল রয়েছে, আমরা গাছপালায় প্রচুর পরিমাণে জল দিয়ে থাকি বা গাছপালাও পৃথিবী থেকে প্রতিনিয়ত অনেক বেশি জল শোষণ করতে থাকে। তবুও বৃষ্টির মধ্যে এমন এক অদ্ভুত জাদু রয়েছে যে বৃষ্টির জল পেলেই প্রত্যেকটি গাছপালা এমন ভাবে সতেজ হয়ে ওঠে এবং তার ডালপালা বৃদ্ধি করতে থাকে যেন এতদিন তারা না খেয়ে ছিল অবশেষে ক্ষুধার্ত পেটে একটু খাবার পেল। গাছের পাতা একদম সবুজ এবং তরতাজা হয়ে ওঠে বৃষ্টির জল পেলেই। সব ধুলো ময়লা ধুয়ে যায় গাছের পাতা এবং ডালপালা থেকে যার ফলে গাছগুলো দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগে এবং তারাও প্রাণভরে বাঁচতে পারে। রাস্তাঘাট জলে ধুয়ে পরিষ্কার হয়ে যায় যেন তারাও একটু স্নান করে পরিষ্কার হয়ে যায়। শুকনো পুকুর প্রাণ ফিরে পায়, জলে ভরে থই থই করে প্রত্যেকটা জলাশয়।
পাখিরা বৃষ্টির মধ্যেও যেন ঘুরে বেড়াতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ধীরে ধীরে বৃষ্টির মধ্যেও কি সুন্দর হেঁটে হেঁটে ঘুরে বেড়ায় আবার উড়ে বেড়ায় গাছের এডাল থেকে ওই ডালে। খুব গরমে যখন কষ্টে থাকে পাখিরা এই বৃষ্টির সময় যেন তারাও একটু স্বস্তি পায়। বৃষ্টির জলে শরীর কেও যেন একটু ঠান্ডা করে নিতে চায়। বৃষ্টির মধ্যেও কিন্তু বিভিন্ন পাখির আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। তবে অসহ্যজনক এবং বিরক্তিকর যে জিনিসটা হয়ে ওঠে সেটা হল মশার উপদ্রব। এই বৃষ্টির জল বিভিন্ন জায়গায় জমতে দেখা যায়। যার ফলে বিভিন্ন রকম মশার উপদ্রব হতে দেখা যায়। তবে এটাও কিন্তু একটা চমৎকার বিষয় যে বৃষ্টির জলে মশারাও অনেক বেশি বেড়ে উঠতে পারে, বিভিন্ন রকমের প্রজাতি এই বৃষ্টির সময়ে বেশি লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন ধরনের কীটপতঙ্গ পোকামাকড় এই বৃষ্টির সময়ে জন্ম নিয়ে থাকে। আর এই বৃষ্টির সময়ে মানুষের বিভিন্ন রকমের ভাইরাল জ্বর হতে দেখা যায়। তবে বৃষ্টির দিনের এই স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া কিন্তু একটা আলাদাই রোমাঞ্চক পরিবেশ তৈরি করে দেয়। অনেকেই বৃষ্টির দিন অপছন্দ করে কারণ বৃষ্টির দিনে জামা কাপড় শুকায় না বৃষ্টির জল চারিদিকে জমে থাকে, কাদা কাদা হয়ে যায় চারিদিক এছাড়াও ছাতা নিয়ে কাড়াকাড়ি বা হারানোর ঝামেলা। কিন্তু আমার যেন এইসব কিছুই ভীষণ রোমাঞ্চক লাগে।
আসলে পৃথিবীতে যদি কোন ঝামেলাই না থাকতো বা কোন সমস্যা না থাকতো তাহলে আমরা অনেক বেশি বোর ফিল করতাম। তাই এইসব ঝামেলার পেছনেও একটা আলাদা আনন্দ আছে। এই বৃষ্টির মধ্যে যদি দেখা যায় যে গাছে ফলন হতো না বৃষ্টির জল পেয়ে সেই গাছে অনেক বেশি ফলন ধরেছে তাহলে মনটা কতই না খুশি হয়ে যায়। আমাদের বাড়িতে তো দেখতে পাচ্ছি পেঁপে গাছে অনেক বেশি পেপের ফুল ধরেছে। অনেকগুলো কলা গাছে প্রায় একসাথে কলা ধরেছে আবার মোচাও ধরেছে। এসব দৃশ্য দেখতে যদি ভালো লাগে তবে একটু খারাপ লাগাও তো সহ্য করে নিতেই হবে। কিছু ভালো পেতে হলে কিছু কষ্ট সহ্য করতেই হয়। তেমনি বৃষ্টির পরে রংধনু দেখতে হলে তার আগে বৃষ্টিটা সহ্য করতেই হবে। তবে আমার কাছে তো রংধনু যেমন প্রিয়, বৃষ্টিও তেমনই অনেক বেশি প্রিয়। বৃষ্টি যেমন প্রত্যেকটি গাছকে নতুন প্রাণ দেয় বাঁচার জন্য অনেক সুন্দর একটা পরিবেশ দেয় তেমন মানুষদেরও এই বৃষ্টি অনেক বেশি স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিছু কিছু মানুষকে তো এই বৃষ্টি আবার নতুন করে বাঁচার আশা দিয়ে যায়। নিজেকে ফিরে পেতে সাহায্য করে পুনরায় বাঁচার সাহস যুগিয়ে যায়।
আসলে বৃষ্টি আমাদের অনেক বেশি মনে শান্তি এনে দিতে পারে শুধুমাত্র আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা বদলানো দরকার। বৃষ্টির জলের অনেক বেশি গুন আছে, এই বৃষ্টির জল অনেক মরুভূমির এলাকায় মানুষকে বাঁচতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন জায়গার মানুষ এই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে সারা বছর বিভিন্ন কাজে এবং জল পান করার কাজে লাগায়। এই বৃষ্টির জল পান করাও অনেক ভালো। বৃষ্টির জলে জাদু যদি নাই থাকতো তাহলে এত কিছু একসাথে করা কখনোই সম্ভব হতো না। বৃষ্টির জলে যেমন প্রত্যেকটা জিনিস প্রাণ পায় তেমন নিজেকেও খুঁজে পায়। এই বৃষ্টির জলে চাষীদের মাঠে অনেক বেশি ফলন ফলে যার ফলে চাষীদের মুখে হাসি ফোটে। বৃষ্টির জল পেয়ে অনাদরেই কত শত শাকসবজি সুসুন্দরভাবেবেড়ে ওঠে যা খেয়ে মানুষ সুস্থ থাকে। বৃষ্টি এত বেশি গুণে পরিপূর্ণ যা বলে বা আমরা চিন্তা করেও শেষ করতে পারবো না। আমাদের এই পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশ আমাদের প্রতিনিয়ত কত কিছু উপহার দেয় এবং তার সাথে দেয় মন ভরা ভালোবাসা আর এইসব উপহার এবং ভালোবাসা দিতে সাহায্য করে থাকে এই জাদু মাখা বৃষ্টি। তাই এই বৃষ্টির প্রতি ফোটায় থাকে জাদু।
ক্যামেরা পরিচিতি : Realme
ক্যামেরা মডেল : realme narzo 60 pro
ক্যামেরা লেংথ : 26 mm
আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।
https://x.com/pussmemecoin/status/1950533965644726576
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit