শিক্ষা ব্যবস্থার মান। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  13 days ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ২৫শে আষাঢ় | ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000010129.png

Canva দিয়ে তৈরি



বলা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, একটা জাতি যতটা শিক্ষিত সে জাতি ততটা উন্নত। এজন্যই প্রতিটা জাতি তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এখন সেই শিক্ষার মান কতটা উন্নত সেটা বড় একটা প্রশ্ন। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু আছে সেই শিক্ষা ব্যবস্থা মাধ্যমে শুধু বেকারত্ব বৃদ্ধি করা যায় তাছাড়া একটা জাতিকে উন্নত করা বা একটা জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া মুশকিল। মূলত সর্বশেষ পাঁচ বছরের যেন আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। হয়তোবা এমন শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা বা এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। এই শিক্ষার কারিকুলাম তৈরি করার ক্ষেত্রে আমরা সবাই চুপ থেকেছি এর মন্দ দিক গুলো সম্পর্কে প্রতিবাদ করিনি।

একটা জাতি কতটা উন্নত সেটা নির্ভর করে তার জ্ঞান আর শিক্ষার আলোর উপর। সেক্ষেত্রে সেই জাতির শিক্ষার মান কতটা উন্নত হয়েছে সেটাও বড় একটা প্রশ্ন। বছর পেরোলেই ছাত্রদের হাতে নতুন একটা সার্টিফিকেট ধরিয়ে দিলে একটা জাতি কখনো শিক্ষিত হয় না। শিক্ষার গুণগতমান তখন বিবেচিত হয় যখন সেই জাতির মাধ্যমে নতুন কিছু আবিষ্কার হয় তাদের সৃজনশীলতা প্রতিনিয়ত তুলে ধরে, সহজ কথা বলতে গেলে বইয়ের পৃষ্ঠা থেকে বিষয়বস্তু গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের পরবর্তীতে যেটা বাস্তব জীবনে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করার জন্য শিক্ষা লাভ করে সেটাই মূলত শিক্ষার জ্ঞান অর্জন। দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে বইয়ের পৃষ্ঠার এর টপিকগুলো শুধু মুখস্থ করানো হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই টপিক অনুযায়ী নতুন কিছু আবিষ্কার করা বা সেই টপিক নিয়ে গবেষণা করার মত কোন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় না তাই আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো অনেক পিছিয়ে।



উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষার মান প্রতিনিয়ত আরো উন্নত হচ্ছে দেশের সাথে শিক্ষা ব্যবস্থা এগিয়ে যাচ্ছে তার বিপরীতে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নতি চোখে পড়ে না। মূলত আমাদের দেশের সরকার শিক্ষা খাতে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসার মত কোনো উদ্যোগ নিতে চায় না। যদি আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটারি গুলো দেখেন তাহলে সহজেই বুঝতে পারবেন আসলে প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস গুলোর কেমন পরিণতি। ল্যাবরেটরীগুলোর অবস্থা দেখলেই বোঝা যায় যেন মাকড়সার জালে বোনা এক পরিত্যক্ত রুম। কিন্তু অন্যান্য দেশের ল্যাবরেটরী গুলো সব সময় ব্যস্ত থাকে শিক্ষার্থীদের নতুন কিছু নিয়ে গবেষণা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়। সত্যি বলতে আমাদের দেশে শুধু সার্টিফিকেট দেওয়ার আগে ল্যাবরেটরীতে কিছুটা সময় দেওয়া হয়। আমার মতে প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থিওরি ক্লাস নেওয়ার পেছনে যতটা সময় দেওয়া হয় ঠিক একইভাবে সেটা প্র্যাকটিক্যালি শেখানোর জন্য ল্যাবরেটরিতে ততটা সময় দেওয়া উচিত।



হয়তোবা অনেক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে আপনি কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পারবেন অর্থাৎ বইয়ের পাতায় যেটা পড়ছেন সেটা প্র্যাকটিক্যালি শেখানো হচ্ছে তবে সবার দ্বারা তো আর বহু খরচে নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদেরকে লেখাপড়ার খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকে না। বাস্তবতা এটাই সেখান থেকে লেখাপড়া শিখে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীরাই বিদেশে পাড়ি জমায় আর সেক্ষেত্রে যে দেশে ছাত্রছাত্রীরা পাড়ি জমায় সেই দেশের জনগণ তার আবিষ্কারের সুবিধা ভোগ করে। এখানেও বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে থাকলো। আসলে আমাদের দেশের মানুষের মন মানসিকতা এমন যে স্কুলে যাওয়ার পরে ছেলেমেয়েরা বইয়ের টপিকগুলো মুখস্থ করবে ক্লাসে রোল এক হবে। বোর্ড পরীক্ষার সময় ছেলেমেয়েরা এ প্লাস পাবে সে কতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে তার মূল্যায়ন কয়জন করে একটু চিন্তা করে দেখেছেন?? সবাই শুধু চায় তার ছেলে বা মেয়ে এ প্লাস পাবে আর সে পাড়ার সবাইকে মাথা উঁচু করে সেই সংবাদটা পৌঁছে দিবে।



আমার নিজ অবস্থান থেকে মনে হয় আমাদের দেশের এই শিক্ষা ব্যবস্থার গুণগতমান বৃদ্ধি করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর দিতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা বিয়েটা হাতে-কলমে শিখছে সেটা বাস্তব জীবনের প্রয়োগ করতে পারবে আর যার মাধ্যমেই একটা জাতি এগিয়ে যেতে পারবে। নতুন নতুন আবিষ্কার নতুন নতুন কিছু সম্পর্কে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সমাজটার ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসবে। আসলে এই বিষয়টা নিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে চায় না হঠাৎ করেই সামাজিক মাধ্যমে একটা প্রতিবেদন দেখার পর আসলে মনে হল হ্যাঁ আমরা বাংলাদেশের মানুষ শুধু বইয়ের পৃষ্ঠা মুখস্ত করে শিক্ষিত হচ্ছি কিন্তু আমাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা সৃজনশীলতা আমাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা প্রতিভা কখনোই প্রকাশ করছি না যার কারণে পৃথিবী এগিয়ে গেলেও আমরা যেন সেই একই অবস্থা নেই বসে আছি আর অন্য দেশের প্রযুক্তির আশায় অপেক্ষা করছি। নিজ দেশ থেকে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করার কখনোই চিন্তা ভাবনা কেউই করছি না।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG_2373 (1).HEIC

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png