বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় শত্রু কে? অনেকেই বলবেন- দুশমন, হিংসুক মানুষ, বা প্রতিকূল পরিস্থিতি। কিন্তু সত্য হলো, মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু প্রায়শই সে নিজেই, বিশেষ করে তার নিজের জবান। জবান এমন একটি শক্তিশালী অস্ত্র, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে উপকার বয়ে আনে, আর অসচেতনভাবে ব্যবহার করলে জীবনে বিপদ ডেকে আনে। তাই বলা হয়ে থাকে,জবানকে সংযত রাখা মানে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আমরা দৈনন্দিন জীবনে কত কিছু বলি! পরিবারের মধ্যে, বন্ধুদের সাথে, অফিসে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, সব জায়গায় কথার ব্যবহার হয়। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছি কি, এই কথাগুলো আমাদের সম্পর্ক ও জীবনের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে? অনেক সম্পর্ক নষ্ট হয় কেবল কিছু বেহিসাবি কথার কারণে। অনেক শত্রু তৈরি হয় কেবল জবানকে সংযত না রাখার কারণে।
ইতিহাস থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত আমরা অসংখ্য উদাহরণ পাই, যেখানে অপ্রয়োজনীয় কথা বড় বিপদ ডেকে এনেছে। যখন কেউ অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করে, পারিবারিক ব্যাপারে নাক গলায়, অথবা সমালোচনায় ব্যস্ত থাকে, তখন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সামান্য কথার কারণে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে গেছে, ব্যবসায়িক পার্টনারশিপ নষ্ট হয়েছে, এমনকি অনেক বড় যুদ্ধও হয়েছে শুধু ভুল বোঝাবুঝির কারণে।
ধর্মীয় দিক থেকেও জবান নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলামে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত থাকে, সে প্রকৃত অর্থে সফল। কারণ অযথা কথা বলা মানুষের হৃদয়ে অহংকার, হিংসা ও বিদ্বেষ বাড়ায়।
কিছু টিপস শেয়ার করছি যার মাধ্যমে জবান সংযত রাখা যেয়। এগুলো ছাড়াও আরো অনেক আছে। এখন যে গুলো বলছি সে গুলো প্রধান।
অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে চলুন- প্রত্যেক কথার হিসাব দিতে হয়। এটা মনে রাখলে আমরা অপ্রয়োজনীয় কথায় জড়িয়ে পড়ব না।
অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন
কেউ কেমন থাকছে, কার পরিবারে কী হচ্ছে, এসব নিয়ে আলোচনা না করাই উত্তম।
রাগের সময় চুপ থাকুন-রাগের মুহূর্তে বলা একটি কঠোর কথা জীবনের সুখ কেড়ে নিতে পারে। তাই রাগ হলে চুপ থাকা শ্রেয়। এটা খুবই জরুরি একটি টিপস।এটা মানতে পারলে জীবনে সুখি হওয়া যায়। রাগের সময় ধৈর্য ধারণ করতে পারা যুদ্ধ করার থেকেও শ্রেয়।
পজিটিভ কথা বলার অভ্যাস করুন- নেতিবাচক মন্তব্য না করে ইতিবাচক চিন্তা ছড়িয়ে দিন। অন্যের কোন বিষয়ে নেগেটিভ ধারনা করা ঠিক না। আর সেই নেগেটিভ ধারনা থেকে কিছু বলা খুবই খারাপ অভ্যাস।
যে ব্যক্তি নিজের জবানকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, তার শত্রু কম হয়, বন্ধু বেশি হয়। তার জীবন হয় শান্তিপূর্ণ। বিপরীতে, যে ব্যক্তি বেহিসাবি কথা বলে বেড়ায়, তার শত্রু বাড়তে থাকে, এবং জীবনে নানা বিপদ আসে। তাই জবানকে সংযত রাখা শুধু ভদ্রতার পরিচায়ক নয়, বরং এটি জীবনের সুখ-শান্তির অন্যতম প্রধান শর্ত।
শেষ কথা হলো, জবানকে সংযত রাখা আমাদের হাতে। এক মুহূর্তের অসাবধানতা জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে। তাই আসুন, অযথা কথাবার্তা এড়িয়ে চলি, অন্যের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ না করি, এবং সবসময় পজিটিভ কথার মাধ্যমে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলি। জবান সংযত করার কথাটি সহজ তবে গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম ।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1946458375426040246?t=hHGq4EhlPgZmzLLzstOswQ&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1946459561789206911?t=Dn-X5GjxO5gchlAGJg0o_w&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit