দিন দিন চিন্তাভাবনা বেড়েই চলেছে 😒

in hive-129948 •  4 months ago 

1000042501.jpg
সোর্স

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি পোস্টে স্বাগতম। আজ আমার একদম ব্যক্তিগত কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি জানিনা আমার মত এই একই সমস্যায় আপনারা কখনো পড়েছেন কিনা।যতই দিন বাড়ছে বয়স বাড়ছে আর চিন্তা ভাবনা বেড়েই চলেছে। একটা বয়স ছিল যে বয়সে কোনো কিছু নিয়েই চিন্তাভাবনা ছিল না। কিন্তু বিয়ের পর থেকে কেন জানি খুব সামান্য বিষয় নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা করি।ইদানিং যেকোনো বিষয় নিয়ে খুবই ভেবে চলি। আগে অবশ্য জিনিসটা ছিল না যেকোনো বিষয় কিংবা কাজকে খুবই পজিটিভ ভাবে নিতাম। মনে হতো খুব সহজে সেগুলোর সমাধান হয়ে যাবে, আটকে থাকবে না কোনো কিছু।

কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি তাতে করে সংসার সন্তান সবকিছু নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছি। একটা কাজ করার আগে অন্তত দশবার ভাবি। আর ভেবেও যখন কোনো কূল পাই না তখন দিশেহারা হয়ে যাই। শুরু হয়ে যায় মানসিক চাপ। আর তখনই দেখা যায় অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবার আছি তারা ঠিক কত কষ্ট করে সংসার চালাই সেটা আমরাই জানি। একটু ভালোভাবে চলাফেরা যদি করতে যাই তাহলে দেখা যাবে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আর যখনই আমি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করি ছেলের জন্য চিন্তা করি তখন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়।

হয়তো বয়স আমার খুবই কম অবশ্য এটা কম ও বলা চলে না। জীবনে ২৫টা বছর পার করে দিয়েছি এটাই বা কম কিসের। তবে খুব ভয় হয় ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো তো? এখন তো সন্তান মানুষ করা খুবই কষ্টের। কেন বলছি একথা আমার আশেপাশে বেশ কিছু অল্প বয়সের ছেলেদের কে নষ্ট হতে যেতে দেখছি।তাদের বাবা মা চাইলেও তাদেরকে কন্ট্রোল করতে পারছে না। হয়তো এভাবেই ছেলেগুলোর জীবন নষ্ট হয়ে যাবে। আমার সন্তান কি করবে, কিভাবে সঠিক শিক্ষা দেবো ওকে এই চিন্তায় দিনরাত কাটছে। যদিও ছেলে এখন অনেকটাই ছোট। তবে ছোট থেকেই তো শিক্ষা দিতে হবে।

বিশ্বাস করুন দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে এখন আমার চিন্তা ভাবনা করে। এত মানসিক চাপা নেওয়া যাচ্ছে না। আবার চাপ না নিয়েও কোনো উপায় নাই।অপরদিকে আবার বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন আরেক সমস্যা। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লেও আমাদের আয় কিন্তু বাড়েনি তাই সেটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হচ্ছে। হয়তো এভাবেই চলে যাবে বাকিটা জীবন। আমার মতো আপনাদের সাথে এমনটা হয় কিনা জানাবেন।

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনি ঠিক বলেছেন জীবন যতো চলে যাচ্ছে ততোই আমাদের চিন্তাভাবনা বেড়েই চলেছে। প্রত্যেক মানুষ তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হয়। তার মধ্যে আর্থিক সমস্যা অন্যতম। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য মানুষ ভোগান্তিতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

যেহেতু আমারও সন্তান রয়েছে তাই আপনার মত এই চিন্তা ভাবনা গুলো আমার মধ্যেও আসে। তবে আমার সন্তান যেহেতু একটু বড় হয়ে গেছে তাই আপনাকে ছোটখাটো দু একটা পরামর্শ আমি দিতেই পারি যেমন, যেকোনো সু অভ্যেস আপনার যদি মনে হয় এটা সুঅভ্যেস তবে তা ছোট থেকেই বাচ্চাকে সেই অভ্যাসে তৈরি করতে শুরু করুন। বাচ্চা বড় হয়ে শিখে যাবে এই মানসিকতাই যারা থাকে তাদের বাচ্চারা আসলেই কিছু শেখে না। এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা। কোন বিষয়ে সেই ভাবে জেদ না করা কোন জিনিসের জন্য অতিরিক্ত বায়না না করা পাশাপাশি বাবা মাকে বাড়ির গুরুজনদের ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সবকিছুই ছোট থেকে শিখতে হয় যখন বাচ্চা কিছু বোঝেনা তার আগেই যদি এই অভ্যাসগুলো তৈরি করে দেওয়া যায় তবে খুব একটা সমস্যা হয় না।

তারপর পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাকে আপনার পাঠ দান বা শিক্ষাদানের পদ্ধতি ও বদলাতে হবে কারণ সবার সব পরিস্থিতিতে সমান হয় না তাই। বাকি আর একটা কথা বলবো ভাবি কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না কারণ আপনার হাতে কিছু নেই। সময় যখন আসবে কোন সমস্যা নিয়ে সময়ই তার সমাধান দেবে তাই অতিরিক্ত চিন্তা করে নিজেকে অসুস্থ করবেন না তাতে নিজেরই ক্ষতি।

চোখের সামনে ছোট ছোট বাচ্চাদের নষ্ট হওয়ার দৃশ্যগুলো সত্যিই অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা!না কিছু বলা যায় না সহ্য করা যায় এরকম একটা অবস্থা।আমি একজনের বিষয় একদিন একটা কথা বলেছিলাম,তার পরিপেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে সে আমাকে অন্যভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেছিলো।তাই এখন অনেক কিছু দেখেও না দেখার ভান করে থাকতে হয়,কিন্তু নিজের বিবেকের কাছে অনেক ছোট হয়ে যাই তারপরও কিছু করার নেই।যাই হোক আপনি আপনার সন্তানকে সব সময় চোখের নজরে রাখবেন এবং ওর প্রতিটি পদক্ষেপ লক্ষ্য করলেই আশাকরি নষ্ট হবে না।অনেক অনেক শুভকামনা রইল লাড্ডুর জন্য ভবিষ্যতে যেন অনেক ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।🙏❤️