নমস্কার
টুনটুনি পাখির বাসা:
বন্ধুরা, ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন কত সুন্দর কিউট পাখির বাচ্চাগুলো।প্রায় কয়েক দিন ধরেই আমাদের কলের পাশ থেকে কেমন যেন ডাক শুনতে পাই।আমি রোজ ভাবি এগুলো মনে হয় ইঁদুরের বাচ্চা, হয়তো মাটির নিচ থেকে আওয়াজ করছে।কিন্তু দেখতে পাই না কিছুই তারপর কৌতূহল বশত একদিন দেখলাম কলের পাশেই জামরুল গাছের পাশে যে ডুমুর গাছটি সদ্য বেড়ে উঠছে তার ডালে বসে টুনটুনি পাখি ডাকাডাকি করছে।তারপর এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি বাসা ডুমুর গাছের একটি পাতাতে।আর তার ভিতরে কিউট তিনটি বাচ্চা।তখন আমি রহস্য উদঘাটন করলাম যে,এতদিন আমি যাকে ইঁদুরের বাচ্চা ভাবছিলাম সেগুলো আসলে এই টুনটুনি পাখির বাচ্চাগুলো।
প্রথমে তো বাচ্চাগুলো আমাকে দেখে মিটিমিটি করে তাকাচ্ছিলো।কিন্তু দুটি সুন্দর পোজ দিচ্ছিলো ছবি তোলার সময় আর একটি ঘুমিয়ে ছিল।সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে--আমি বাসার কাছে যেতেই মা টুনটুনি দূর থেকে দেখে তো জোরে জোরে ডাকাডাকি শুরু করে দিলো।যেন মনে হচ্ছে আন্দোলন করছে।আর টুনটুনি পাখি ছোট হলেও তার গলার আওয়াজ কিন্তু ভীষণ-ই তীব্র।তো যখনই মা টুনটুনি পাখি জোরে জোরে আওয়াজ করছিলো তখনই বাচ্চাগুলো সবই ঝিমিয়ে পড়ছিলো।যেন তার মায়ের সতর্ক বার্তা খুব ভালোভাবে বুঝে গিয়েছে।
যদিও আগে এই টুনটুনির বাসাটি আমাদের জামরুল গাছের ডালে ছিল।কিন্তু মা খেয়াল না করে ডালটি কেটে দিয়েছিলো, অতিরিক্ত ঝাড়-বেঁধে গিয়েছিলো তাই।যাইহোক তারপর টুনটুনি পাখি নতুন বাসা বানিয়ে তাতে ডিম পেড়ে তবেই এত সুন্দর সুন্দর কিউট বাচ্চাগুলো হয়েছে।আর বাচ্চাগুলি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে, এক দিন পরেই উড়তে শিখে গিয়েছে বাচ্চাগুলি।
সবথেকে বেশি ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে টুনটুনি পাখির বাসাটি।যেটা সূক্ষ্ম ও নিপুনতার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে।যেন দক্ষ কারিগর, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে আমাদের।মনে হচ্ছে ডুমুর পাতাটি একপাশ থেকে অন্য পাশটি সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছে।এত সুন্দর করে তারা তাদের বাসা মুখ দিয়ে বুনে থাকে।যেটা সত্যিই ভাবনার বিষয় এই ছোট্ট প্রাণীদের কাছ থেকে।
তাছাড়া আরো একটি বিষয় নজরে এসেছলো আমার।সেটা হচ্ছে জামরুল গাছের নিচে ছোট্ট একটি গাছ দেখতে পেলাম।যেটি হচ্ছে লজ্জাবতী।প্রথমে ভাবছিলাম এখানে আবার লজ্জাবতী গাছ আসবে কোথা থেকে কিন্তু তারপর ভাবলাম হাত দিয়ে দেখি কি হয়।তারপর গাছের পাতায় হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই পাতাগুলো লাজুক হয়ে মুদে গেল।বেশ কয়েকবার স্পর্শ করে বুঝলুম আসলেই এটি লজ্জাবতী উদ্ভিদ।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টুনটুনি পাখির বাসা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর ছোটবেলায় এগুলো নিয়ে অনেক খেতাম। গ্রামের বাড়িতে এগুলো অনেক দেখতে পেতাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হুম আপু,ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি জানানোর জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাস্ক প্রুফ:
কমেন্টস লিংক--
https://x.com/green0156/status/1946007543853326467
https://x.com/green0156/status/1946009524659507295
https://x.com/green0156/status/1946009777248882978
https://x.com/green0156/status/1946011572536823909
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টুইটার লিংক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit