"টুনটুনি পাখির বাসা"

in hive-129948 •  4 days ago 

নমস্কার

কেমন আছেন বন্ধুরা? আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন ঈশ্বরের কৃপায়।আমিও মোটামুটি ভালোই আছি।যাইহোক আজ চলে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি অনুভূতি শেয়ার করতে।আশা করি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের লেখা অনুভূতিটি।তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক----

টুনটুনি পাখির বাসা:


IMG_20250716_123112.jpg

বন্ধুরা, ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন কত সুন্দর কিউট পাখির বাচ্চাগুলো।প্রায় কয়েক দিন ধরেই আমাদের কলের পাশ থেকে কেমন যেন ডাক শুনতে পাই।আমি রোজ ভাবি এগুলো মনে হয় ইঁদুরের বাচ্চা, হয়তো মাটির নিচ থেকে আওয়াজ করছে।কিন্তু দেখতে পাই না কিছুই তারপর কৌতূহল বশত একদিন দেখলাম কলের পাশেই জামরুল গাছের পাশে যে ডুমুর গাছটি সদ্য বেড়ে উঠছে তার ডালে বসে টুনটুনি পাখি ডাকাডাকি করছে।তারপর এগিয়ে যেতেই দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি বাসা ডুমুর গাছের একটি পাতাতে।আর তার ভিতরে কিউট তিনটি বাচ্চা।তখন আমি রহস্য উদঘাটন করলাম যে,এতদিন আমি যাকে ইঁদুরের বাচ্চা ভাবছিলাম সেগুলো আসলে এই টুনটুনি পাখির বাচ্চাগুলো।

IMG_20250716_123005.jpg

IMG_20250716_123037.jpg

প্রথমে তো বাচ্চাগুলো আমাকে দেখে মিটিমিটি করে তাকাচ্ছিলো।কিন্তু দুটি সুন্দর পোজ দিচ্ছিলো ছবি তোলার সময় আর একটি ঘুমিয়ে ছিল।সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে--আমি বাসার কাছে যেতেই মা টুনটুনি দূর থেকে দেখে তো জোরে জোরে ডাকাডাকি শুরু করে দিলো।যেন মনে হচ্ছে আন্দোলন করছে।আর টুনটুনি পাখি ছোট হলেও তার গলার আওয়াজ কিন্তু ভীষণ-ই তীব্র।তো যখনই মা টুনটুনি পাখি জোরে জোরে আওয়াজ করছিলো তখনই বাচ্চাগুলো সবই ঝিমিয়ে পড়ছিলো।যেন তার মায়ের সতর্ক বার্তা খুব ভালোভাবে বুঝে গিয়েছে।

GridArt_20250716_123221325.jpg

যদিও আগে এই টুনটুনির বাসাটি আমাদের জামরুল গাছের ডালে ছিল।কিন্তু মা খেয়াল না করে ডালটি কেটে দিয়েছিলো, অতিরিক্ত ঝাড়-বেঁধে গিয়েছিলো তাই।যাইহোক তারপর টুনটুনি পাখি নতুন বাসা বানিয়ে তাতে ডিম পেড়ে তবেই এত সুন্দর সুন্দর কিউট বাচ্চাগুলো হয়েছে।আর বাচ্চাগুলি বেশ বড় হয়ে গিয়েছে, এক দিন পরেই উড়তে শিখে গিয়েছে বাচ্চাগুলি।

IMG_20250716_123239.jpg

সবথেকে বেশি ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে টুনটুনি পাখির বাসাটি।যেটা সূক্ষ্ম ও নিপুনতার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে।যেন দক্ষ কারিগর, তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার রয়েছে আমাদের।মনে হচ্ছে ডুমুর পাতাটি একপাশ থেকে অন্য পাশটি সুই-সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছে।এত সুন্দর করে তারা তাদের বাসা মুখ দিয়ে বুনে থাকে।যেটা সত্যিই ভাবনার বিষয় এই ছোট্ট প্রাণীদের কাছ থেকে।

IMG_20250716_122628.jpg

তাছাড়া আরো একটি বিষয় নজরে এসেছলো আমার।সেটা হচ্ছে জামরুল গাছের নিচে ছোট্ট একটি গাছ দেখতে পেলাম।যেটি হচ্ছে লজ্জাবতী।প্রথমে ভাবছিলাম এখানে আবার লজ্জাবতী গাছ আসবে কোথা থেকে কিন্তু তারপর ভাবলাম হাত দিয়ে দেখি কি হয়।তারপর গাছের পাতায় হাত দিয়ে স্পর্শ করতেই পাতাগুলো লাজুক হয়ে মুদে গেল।বেশ কয়েকবার স্পর্শ করে বুঝলুম আসলেই এটি লজ্জাবতী উদ্ভিদ।


আশা করি আমার আজকের অনুভূতিগুলি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি বর্ধমান ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি,ইতিহাস বিষয় নিয়ে।বর্তমানে আমি ওইখানেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রিতে(এম.এ) অধ্যয়নরত আছি।এখানে বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।এছাড়া আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

টুনটুনি পাখির বাসা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর ছোটবেলায় এগুলো নিয়ে অনেক খেতাম। গ্রামের বাড়িতে এগুলো অনেক দেখতে পেতাম আপু।

হুম আপু,ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি জানানোর জন্য।