নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
গতকাল আমার একটা আনন্দের দিন ছিল। কারণটা খুবই সামান্য কিন্তু আমার কাছে অনেক বিশেষ। গাছ গাছালি লাগাতে আমার বেশ ভালো লাগে । বাড়িতে কিছু গাছপালা থাকলে কি সুন্দর সবুজ লাগে চার-পাশটা। ফুল গাছের পাশাপাশি ফল গাছও কিন্তু আমার খুব প্রিয়। শুধু ফলের গাছ কেন শাক সবজির গাছও ভালো লাগে। এই গাছগুলো থাকলে বাড়িতেই সমস্ত কিছু পাওয়া যায়। তাই ছোট্ট ছাদে আমি কয়েকটা ফুলের গাছ ও ছোটো দুই একটা ফলের গাছ লাগিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার সেই আনন্দের খবরটা শেয়ার করব। সেই সাথে গতকালকের সকালের ও দুপুরের খাবারের মেনু শেয়ার করবো।
দুই বছর হল আমি বাড়িতে একটা ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছি। এই গাছের ডালটা আমি আমার এক পড়ানোর বাড়ি থেকে এনেছিলাম। খুব ছোট্ট একটা ডাল ছিল। ওদের বাড়ির কাছে ড্রাগন ফল আমাকে খেতে দিয়েছিল। ফল গুলোর ভিতর থেকে ছিল গাঢ় বেগুনি ও গোলাপীর মিশ্রণে যে রং তৈরি হয় সেই রকম রং। আর খেতেও ছিল অসাধারণ। অনেক ড্রাগন ফল হয় যেগুলো খেতে মিষ্টি হয় না। তবে এই গাছের ড্রাগন ফল খেতে অনেক মিষ্টি ছিল। তাই আমি বলে রেখেছিলাম যদি কখনো গাছের ডাল কাটে আমাকে যেন একটা দেয়। সেইমতো ওরা যখন ডাল কেটেছিল তখন আমার জন্য একটা ডাল রেখে দিয়েছিল।
আমি সেই ডালটাকে বাড়িতে এনে প্রথমে একটা বড় টবের মধ্যে লাগিয়েছিলাম। সেই সময় আমি একেবারেই জানতাম না যে কিভাবে গাছটাকে লালন পালন করলে খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে উঠবে এবং ফলন হবে। প্রথম কয়েক মাস দেখলাম গাছটা একেবারেই বৃদ্ধি হচ্ছিল না। তবে ডালপালা না পারলে ফলের আশা তো করাই যায় না। তাই অনেকের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিভাবে এই গাছের চর্চা করতে হয়। তারপরে বেশ কিছু নতুন নতুন তথ্য পেয়েছিলাম। প্রথমেই আমাকে সকলে যেটা বলেছিল, সেটা হল--- ওই টব থেকে তুলে বড়ো কোনো জিনিসের মধ্যে বেশি করে মাটি দিয়ে তার মধ্যে গাছটাকে বসাতে। সেই মতো আমিও ওই টব থেকে তুলে বড়ো একটা জিনিসের মধ্যে বেশি করে মাটি দিয়ে গাছটাকে বসিয়েছিলাম।
সেই সাথে মাঝে মাঝে সারও দেওয়া হতো। বেশ কয়েকদিন হলো গাছে ফল ধরেছে।গতকাল সকালে দেখলাম আরো একটা ফুল ফুটেছে। এই দেখো আনন্দ না করে থাকা যায় বলুন। যদিও এখনো গাছের একটিও ফল পুরোপুরি পাকেনি। তাই কেমন খেতে হবে তা এখনো জানা নেই। তবুও নিজের হাতে চর্চা করা গাছে ফল এসেছে এতেই আমি অনেক খুশি। শুধু আমি কেন বাড়ির সবাই খুব খুশি।
গতকাল আবার দাদা ও বৌদির বিবাহ বার্ষিকী ছিল। সেই উপলক্ষ্যে বাড়িতে তেমন কোনো আয়োজন করা না হলেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছিল ভালোই। সকালবেলায় জলখাবারে করা হয়েছিল লুচি ও ঘুগনি। বৌদির যেহেতু লুচি খুব ভালো লাগে তাই সকালের খাবারটা বৌদির পছন্দ দিয়েই শুরু হয়েছিল। ঘুগনি টা বৌদিই বানিয়েছিল। দারুন খেতে হয়েছিল। আমি নিজেও লুচি খেতে খুব ভালবাসি। তাই লুচি পেয়ে সকালটা বেশ ভালোভাবেই কাটলো।
এরপর দুপুরের খাবারের পালা। সেখানেও বেশ পছন্দের খাবার ছিল। যদিও হরেক রকমের পদ করা হয়নি। শুধু মাত্র মটন আর ভাত করা হয়েছিল। যদিও বৌদি মটন খায় না। তবে দাদা আর আমার খুব পছন্দের। বৌদির জন্য অল্প করে চিকেন করা হয়েছিল। এইভাবেই দুপুরটাও জমে গিয়েছিল।
তারপরে আবার রাতের আয়োজন ছিল। সেই গল্প আপনাদের সাথে পরবর্তী পোস্টে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। আগামীকাল আবার অন্য কোনো লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। সকলে ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।