নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
গতকাল ছিল শনিবার । আজকে সন্ধ্যাবেলায় একটা নেমন্তন্ন রয়েছে তার গিফট কেনার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলাম গতকাল সন্ধ্যা বেলায়। আজকে আমার এক মাসির মেয়ে জন্মদিন। জন্মদিনের গিফট কেনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম ঈশার কাছে। তিনি কোন কারণে গিফট কিনতে যেতে পারিনি। হঠাৎ করেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ফোন করে বলল আমি আজকে যেতে পারিনি। তাই তুমি গিয়ে কিনে নিয়ে এসো। শুনে একটু ভয় পেয়ে ছিলাম। ভীষণ রাগ হয়েছিল।কারণ আজকে রবিবার। অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকে। আমার সাথে যাবার মতো সঙ্গী ছিল না।সকাল থেকেই কম-বেশি বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই কাঁদার মধ্যে একদমই বেরোতে ইচ্ছে করছিল না। সন্ধ্যা বেলাতে ও টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছিল ।বর কাজ থেকে তখনও বাড়ি ফেরেনি।তাই তাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলেছিলাম। সারাদিন পরিশ্রম করে এসে ও একদমই বের হতে চায়না।এসে দুজনে মিলে বেরিয়ে পড়েছিলাম গিফট কেনার জন্য। আসলে কোন নেমন্তন্ন বাঁধলে কোন জিনিসটা দেবো সেটা বুঝে উঠতে পারি না। তাতে আবার পাঁচ বছরের মেয়ের জন্মদিন।
রাত তখন প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেছে। ভেবেছিলাম হয়তো সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছিল ।বৃষ্টি পড়লে অধিকাংশই দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেয়। যাওয়ার পর আমরা যে দোকানটা থেকে জিনিস কিনতাম। সেই দোকান খুঁজে পেলাম না ।মনে হয় দোকানটি ভেঙে হয়তো অন্য দোকান করেছে। বৃষ্টির মধ্যে সমস্ত দোকানে প্রচুর ভিড়। রাস্তায় ও প্রচুর ভিড়। শেষে চোখে পড়লো অন্য এক দোকানে চলে গেলাম। সেখান থেকে পছন্দমত একটা জিনিস কিনে নিয়েছিলাম ।জিনিস কেনার পর ঈশা ফোন করে বলেছিল mio amio থেকে মাফিন আনতে। ওর কথা মতো চলে গিয়েছিলাম অন্য দোকানে সেখান থেকে ওর জন্য খাবার কিনে নিয়ে আবারো বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। তখনই হঠাৎ করে মনে পড়ল জিনিস কিনতে যাওয়ার আগে বোন বায়না করেছিল তার জন্য কিছু খাবার আনতে।
বোনের দিদির কাছে বায়নার শেষ নেই।অর্ধেক রাস্তায় এসে যখন মনে পড়ল তখন আবারো ঘুরে গিয়েছিলাম। কি খাবার আনবো সেটা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। একটা দোকানে বিরিয়ানি আছে কিনা জিজ্ঞেস করতেই বললো শেষ হয়ে গেছে। তখন প্রায় রাত সাড়ে নটা বেজে গেছে। বিরিয়ানি খেতে মোটামুটি আমি আমার বোন দুজনেই খুব ভালোবাসি ।অন্য দোকানে যখন জিজ্ঞেস করলাম তখন দেখলাম বিরিয়ানির কিছুটা অংশ পড়ে আছে দেখে নিতে ইচ্ছে করছিল না।সব বিক্রি হয়ে গেছে।কিন্তু আর অন্য কোন দোকানে ঘুরতেও ইচ্ছে করছিল না। তাই সেই দোকান থেকেই এক প্লেট বিরিয়ানি নিয়ে নিয়েছিলাম। দোকানদার প্রায় অনেক টা বিরিয়ানি দিয়ে ছিল।বাড়িতে এসে ঈশাকে তার খাবারটা দিয়ে দিয়েছিলাম। দিয়ে চলে এসেছিলাম মামার বাড়িতে। মাসির মেয়ের জন্মদিনের জন্য মামার বাড়িতে মা -বোন দুজনেই এসেছে।
মামার বাড়িতে এসে বোনকে যখন বিরিয়ানি দিলাম। তখন সে তো ভীষণ খুশি হয়েছে। দুই বোন মিলে খুব আনন্দ করেই বিরিয়ানি খেয়েছিলাম ।ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদারে মুখরোচক খাবার খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে গিফট দোকান থেকে প্যাক করে দিয়েছিল ।তাই বাড়িতে এসে কাউকে দেখাতে পারিনি।
আজ এই পর্যন্তই। আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you so much 🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit