নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
গত কয়েকদিন ধরে আপনাদের মাঝে বাপের বাড়ির পোস্ট শেয়ার করছি। কারণ মেয়েদের বাপের বাড়ি গেলে ঘোরার শেষ থাকে না। সেখানে গেলে কোন কাজ কর্মের বালাই নেই। না থাকে কোনো চিন্তা।বসে বসে মায়ের হাতে রান্না খাওয়া আর ঘোরা ছাড়া কোন কাজ থাকে না। তবে আমি সে দিনকে গিয়ে চলে আসবো বলে সেই ভাবেই গিয়েছিলাম। কিন্তু ওই যে কথাই বলে মা কি আর সাথে সাথে ছাড়তে চায়। সেদিন ছিল উল্টোরথ ।তাই ভেবেছিলাম এসে রথ দেখতে যাব। কিন্তু সেদিন আর আসা হয়নি। সেজ বোনের ভীষণ ইচ্ছে ঘুরতে যাওয়ার। সে ঘুরতে ভীষণ পছন্দ করে। তবে কোন সঙ্গী না পাওয়ার জন্য কোথাও যেতে পারে না। যখন সকলে আমরা বাপের বাড়িতে একত্রিত হয়। তখন এদিক ওদিক যাওয়া হয়। তবে এবার আর মাঠে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। এখন বর্ষাকাল। রাস্তায় দুই ধারে অনেক জঙ্গল হয়ে গেছে। প্রচন্ড সাপের উৎপাত হয়েছে। তাই এবারে অন্য জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম।আমাদের বাপের বাড়ি থেকে প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার দূরে একটা সুন্দর ক্যাফে করেছে। সেখানে বোনের ঘুরতে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিল ।কিন্তু সঙ্গী না পাওয়ার জন্য যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই আমাদের সকলের কাছে জেদ ধরেছিল ওখানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
এখন বর্ষার সময় যখন তখন বৃষ্টি চলে আসছে ।তাই কোথাও বেড়াতে যাওয়া খুব রিস্কের ব্যাপার। পরের দিনকে বিকেল বেলায় সকলে মিলে রেডি হয়ে নিয়েছিলাম ঘুরতে যাব বলে। আকাশে ছিল কালো মেঘ ।তবুও মেঘ কে উপেক্ষা করেই বেরিয়ে পড়েছিলাম ।বাড়ি থেকে একটা চেনা টোটো ভাড়া করে নিয়েছিলাম ।সেই টোটো করে মোট ছয় জন মিলে বেড়াতে চলে গিয়েছিলাম। আমাদের কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর রোডের মাঝখানেই পড়ে এই ক্যাফে। আমার বাপের বাড়ি যেখানে সেই জায়গাটির নাম বেতাই। সেই বেতাই থেকে আরও তিন চার কিলোমিটার যেতে হয়। ওই জায়গাটির নাম হল নাজিরপুর সোনার বাংলা রেস্টুরেন্ট। তবে ওখানে এখন ক্যাফে সিস্টেম করেছে। একদম রাস্তার উপরেই ক্যাফে টি। তাই খুঁজে পেতে অসুবিধা হয়নি। রাতের বেলায় ক্যাফের চারপাশ বেশ সুন্দর লাগছিল ।চারিদিকে সুন্দর লাইটিং করা ছিল।
যাইহোক সকলে মিলে খুব মজা আনন্দ করতে করতে ক্যাফেতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম কতই না সুন্দর। তাই সকলে মিলে সুন্দর ছবি তুলবো বলেই ওখানে যাওয়া। গিয়ে দেখি তেমন কিছুই নেই শুধুমাত্র একটা ছবি তোলার জায়গা রয়েছে। ওখানে বেশ কয়েকজন ছবি তুলছিল। তাদের ছবি তোলা হয়ে গেলে আমরা সকলে মিলে কিছু ছবি তুলে নিয়ে ছিলাম। কিন্তু ওখানে খাবারের দাম প্রচুর। খাবারের দাম শুনে আমরা রীতিমতো চমকে উঠেছিলাম। তাই ওখান থেকে আমরা বিশেষ কিছু খায়নি। কিছু ছবি তুলে চলে এসেছিলাম টোটো ধরে বাইরে কিছু খেয়ে নেব বলে। বাইরে থেকে আমরা সকলে মিলে যে যার পছন্দ মত খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। এরপর চলে গিয়েছিলাম আমাদের বেতাই বাজারে সেখানে অনেক কাজ ছিল।
ছোট বোন মেজ বোনের মেয়েকে জন্মদিনে কোন গিফট দেয়নি ।তাই সে বোনের মেয়ের জন্য একটা গিফট কিনে নিল। আর মেজো বোনের ছিল একটু জুয়েলারির দোকানে কাজ ।সে সেখান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়েছিল ।এরপর আবারো সকলে মিলে রওনা দিয়েছিলাম বাড়ির দিকে। মাঝে মাঝে সকলে মিলে এইরকম কোথাও বেড়াতে যেতে বেশ ভালো লাগে ।তবে এই প্রথমবার সকলেই ওই রাস্তা দিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওই রোডে কেউ কখনোই যাওয়া হয়নি। সেদিন বেড়াতে গিয়ে ভীষণ মজা হয়েছিল। সকলে একত্রিত হয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার মজাই আলাদা।সেই মজার মুহূর্তই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আজ এইখানেই শেষ করছি। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল।