Better Life With Steem || The Diary game || 14 / March / 2025

in hive-120823 •  4 months ago 

আসসালামু আলাইকুম। আশাকরছি সবাই ভালো আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। ইন্ডিয়ান বাসী, বাংলাদেশ বাসী,ও ইনক্রিডিবল ইন্ডিয়া কমিউনিটির সবাইকে জানাই, আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সবার প্রতি আমার ভালবাসা রইল।


আজকের দিনটি ছিল একদম স্বাভাবিক, তবে কিছুটা ব্যস্তও। প্রতিদিনের মতো আজও সকাল ৯ টায় ঘুম থেকে উঠলাম। উঠে প্রথমে ফ্রেশ হলাম, এরপর প্রিয় কবুতরগুলোকে খাবার দিলাম। আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক একদিন ঘর পরিষ্কার করার দিন, তাই অনেক কাজ ছিল। ঘর গুছিয়ে রাখলাম, কিছু নতুন জিনিস সঠিক স্থানে রাখলাম। কাজ করতে-করতে হঠাৎ চোখ চলে গেল ঘড়ির দিকে!

1000013110.jpg

তখন দেখলাম ১১ টা বাজে ঘড়ির কাঁটায় তাকিয়ে ভাবলাম, আর কিছুক্ষণ পরেই গোসল করব। কিন্তু ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি ট্যাঙ্কিতে পানি নেই। তো, মোটর চালিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে মনে হলো, যতক্ষণ না পানি উঠে আসে, ততক্ষণ ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখি, এর মধ্যেই আমার ছোট ভাগ্নি এসে গোসল করতে চলে গেল। মেয়েরা সাধারণত গোসল করতে একটু বেশি সময় নেয়, তাই তার গোসল প্রায় আধা ঘণ্টা সময় নিল। এর মাঝে আমি অপেক্ষা করলাম। ভাগ্নি বের হওয়ার পরে, আমি গোসল করতে চলে গেলাম। গোসল করা শেষ হয়ে গেলে, নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরেই মসজিদের উদ্দেশ্য করে রওনা হলাম।

1000013104.jpg

1000013103.jpg

আজ শুক্রবার, তাই মসজিদে প্রচুর মানুষের সমাগম ছিল। মসজিদের বাইরে অনেক মানুষ ছিল, আবার কেউ-কেউ রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছিল। আমাদের এলাকায় প্রতি শুক্রবার মসজিদে বেশি মানুষ হয়ে থাকে, কিন্তু আজকের দিনটা একটু আলাদা ছিল। মানুষের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম।

1000013112.jpg

এরপর ভাবলাম কবুতরদের খাবার দেব। হঠাৎ মনে পড়ল, খাবার নেই। তাই আবার বাইরে গেলাম। বাহিরে গিয়ে কবুতরের জন্য খাদ্য কিনে বাসায় ফিরলাম। আমি শুধু এক ধরনের খাবার নয়, বরং কবুতরদের জন্য মিক্স করে নানা ধরনের খাবার তৈরি করি, যা তাদের খুব পছন্দ। কবুতরকে খাবার দিয়ে, আবার ঘরে ফিরে এসে কিছুটা বিশ্রাম নিলাম, হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমটা বেশ গভীর ছিল, ঘুম থেকে উঠেই দেখি সময় প্রায় সাড়ে পাঁচটা।

1000013111.jpg

তারপর মনে হল, মাগরিবের আজান শোনার সময় ঘনিয়ে আসছে, আর ইফতার করারও সময় আসছে। তো, ছাদে গিয়ে দেখি কিছু গাছের পাত্রে পানি একদমই নেই। এই গাছগুলো আমার বড় ভাতিজি লাগিয়েছিল, কিন্তু সে নিয়মিত পানি দেয় না। তাই আমি কিছু গাছে পানি দিলাম। ছাদে হাঁটাহাঁটি করতে-করতে বেশ কিছু সময় পার হয়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে মাগরিবের আজান শোনা গেল। সঙ্গে-সঙ্গে আমি নিচে নামলাম, হাত-মুখ ধুয়ে ইফতার করলাম। রোজা রেখে ইফতারির পর, পেটের মধ্যে খাবার গেলে শরীরটা একদম ভার হয়ে যায়, আর কিছুই করতে ভালো লাগেনা তারপর বিছানায় শুয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নিলাম এবং ইউটিউবে কিছু ভিডিও দেখলাম।

1000013031.jpg

সেই সময় আমার এক বন্ধু ফোন করল। আমি তাকে বললাম, প্রায় বিশ মিনিট অপেক্ষা কর, আমি বের হচ্ছি। তারপর দুই বন্ধু মিলে বাজারে গেলাম, আমরা দুজন মিলে ঘুরতে-ঘুরতে এক জুতার শোরুমে ঢুকলাম। সেখানে বেশ কিছু সুন্দর জুতা ছিল। তাদের মধ্যে একটা জুতা আমার পছন্দ হয়ে গেল, কিন্তু দাম শুনে আর কিনতে ইচ্ছা হলো না। বন্ধু কিছু কেনাকাটা করল, তারপর মার্কেট থেকে বের হয়ে আমরা আবার বেশ কিছু সময় ঘুরলাম।

1000013105.jpg

এই সময় বন্ধু আমাকে অফার করল, ডিম জন্য, আমি একটু ভেবে বললাম, হ্যাঁ, সিদ্ধ ডিম খাওয়া যায়। দুজন মিলে দুইটা সিদ্ধ ডিম খেলাম। খাওয়ার পর আমরা আস্তে-আস্তে হাঁটতে-হাঁটতে বাসায় ফিরলাম। বাসায় এসে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, সময় প্রায় দশটা। আজকের দিনটা শেষ হতে চলেছে। এইতো এভাবে আমার আজকের দিনটি শেষ হয়ে গেল। আমি শুকরিয়া করি মহান আল্লাহর কাছে সে আমাকে আরেকটি দিনের বাঁচার সুযোগ করে দিয়েছে। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।


JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7yctNbUfy3Svm873NHceMEBkiU7QugfFD3RdWkWB8D5Nn71Vnqc38zTwcdMtsxGBY9bLpzWCxcXrK7yhhF5vsc2ofGXjYS.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



◦•●◉✿ধন্যবাদ সবাইকে লেখাটি পড়ার জন্য।✿◉●•◦

১৪, মার্চ, ২০২৫

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

Loading...

শুক্রবারের দিনটা আসলে ঘর পরিষ্কার করতে এবং যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতেই কেটে যায় আপনি আপনার সময়টা নামাজ পড়া এবং আপনার কবুতরের জন্য খাবার কিনতে গিয়ে ব্যয় করেছেন আমি নিজে কবুতরকে গম এবং ভুট্টা ভাঙ্গা খাইয়ে থাকে তবে আজকে আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হল বেশ কিছু জিনিস আপনি মিস করে থাকেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।