নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। অনেকদিন পর একটা কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে চলেছি। কনটেস্টের বিষয় দেখে নিজেকে আর আটকানো গেল না। প্রথমেই এত সুন্দর একটা ফটোগ্রাফি কনটেস্ট আয়োজন করার জন্য @tanay123 দাদা কে ধন্যবাদ জানাই। কনটেস্টের থিম বৃষ্টি নিয়ে। যেখানে বৃষ্টি সেখানে আমি।তার ওপর আমার ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালো লাগে। বৃষ্টি নিয়ে লেখালেখি , স্মৃতি, ফটোগ্রাফি সব কিছু আমার কাছে জমানো আছে।। তাই চলে এসেছি অংশগ্রহণ করতে।
Do you love rain? What is the reason behind your preference? |
---|
পৃথিবীর সব প্রশ্নের তুলনায় এই প্রশ্নটা আমার কাছে সবথেকে সহজ। কারণ আমি অস্বাভাবিকভাবে বৃষ্টি ভালোবাসি। বৃষ্টি আর মেঘ যেন আমার সব থেকে প্রিয় জিনিস। আমার কাছে প্রকৃতির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপহার হল গাছ আর বৃষ্টি ।
প্রশ্ন হল যে কেন আমার বৃষ্টি ভালো লাগে,
আসলে বৃষ্টি আসলে মুডটাই বদলে যায়। প্রচন্ড প্রচন্ড শান্তি লাগে। প্রত্যেকটা ঋতুতে যেভাবে প্রকৃতি নিজের রূপ পরিবর্তন করে, আমি অবাক হয়ে প্রত্যেকটা রূপ দেখি, ছবি তুলি, ফটোগ্রাফি করি আর সেটা নিয়ে আমার মনের ভাবনাগুলোকে শব্দ দিয়ে কবিতাবন্দি করি ।
এই যে এখন আমি পোস্ট লিখছি এই মুহূর্তে কিন্তু ঝমঝম করে বৃষ্টি হচ্ছে।আমার ঘরের প্রত্যেকটা জানলা খোলা। বাবা এজন্য মাঝেমধ্যেই বকুনি দেয়। বৃষ্টির ছাট এসে সবকিছু ভিজে যাবে। কিন্তু আমার এই বৃষ্টির ছাট ভীষণ পছন্দের। বৃষ্টি আমার মনকে ঠান্ডা করে দেয়। আনন্দ যন্ত্রণা সব কিছু মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আমার সারা ঘর জুড়ে বৃষ্টির হাওয়া মেখে ভালোবাসা ঘুরে বেড়ায়।
আমি খেয়াল করে দেখেছি অনেকেরই মুড খারাপ থাকলে অথবা মন খারাপ থাকলে বৃষ্টি বেশি ভালো লাগে, বৃষ্টির সময়টা মেঘলা আকাশটা বেশি ভালো লাগে। কিন্তু আমার কাছে বৃষ্টি মানেই ভালোলাগা। সে আমার মুড যেরকমই থাকুক।
লোকে বৃষ্টি আসলে বাড়ি থেকে বার হতে চায় না। বর্ষায় বাড়ি থেকে বার হতে কারোর ইচ্ছা করে না। আর উল্টোদিকে আমি। বৃষ্টি আসলে মনে হয় বাড়ির বাইরে কি করে যাব। রাস্তায় মেঘ করলে হাওয়া দিলে মনে হয় বাড়ি থেকে বার হতে পারলে বাঁচি। এই প্রকৃতির হাওয়াটা যতটা আমার গায়ে লাগে ততটাই যেন আমার আরাম। এই কারণেই ঝড় বৃষ্টি হলে দৌড়ে গিয়ে ছাদে চলে যাই। এ রোগ আমার ছোটবেলা থেকে।
Share some of your favorite rain photography. |
---|
বৃষ্টির ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্রচুর ছিল । সেগুলো ব্যবহার করেছি প্রচুর এ কারণে এই পোষ্টের ক্ষেত্রে সেগুলো আর দিচ্ছি না। আজকে আমি ন'টা বৃষ্টির ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি।
- প্রথম ফটোগ্রাফি
একটা ঝড়ের শেষে
শরীর টা ভাসিয়ে রেখেছি।
আমি নিশ্চিন্ত।
তোমার শহরের আলোয়,
আমি নিশ্চিন্তে
ঘুমাই রোজ।
প্রতিটা স্পন্দন নিশ্চিন্তে থাকে আমার।
ওরা জানে এ বৃষ্টির গান।
জানে, এ ডুবিয়ে দেয়না মরা গাছের ডাল।
শুধু ভিজতে থাকে নরম কুন্দ গাছ,
সাদা সাদা পাপড়ি আর কিছু কচি পাতা।
এই ফটোগ্রাফিটাকে কেন্দ্র করে নিজের কিছু অনুভূতি লিখে রেখেছিলাম। ফটোগ্রাফি টা শেয়ার করছি বলে লেখাটাও শেয়ার করে নিলাম।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
- চতুর্থ ফটোগ্রাফি
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
সপ্তম ফটোগ্রাফি
অষ্টম ফটোগ্রাফি
- নবম ফটোগ্রাফি
Do you have any memories associated with rain?Share how you feel about those memories! |
---|
বৃষ্টি কে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। আর প্রত্যেকটা স্মৃতি হয়তো আমি মরার আগে অবধি বলবো না। প্রকৃতি অনেক সুন্দর। আমাদের চারিদিকটাই সুন্দর। দেখার চোখ থাকলে সুন্দরকে খুঁজতে আলাদা করে চোখ লাগেনা। যে ভালো সে ভালো গুলোই দেখতে পায়। তাই চারিপাশটা যত যাই হয়ে যাক না কেন, প্রকৃতির এই সৌন্দর্যতা যাদের দেখার তারা দেখতে পাবে।
বৃষ্টি আসলে প্রকৃতি আরো সুন্দর হয়ে যায়। অনেকটা বাই ওয়ান গেট ওয়ান এর মত। একটা পাচ্ছি তার সাথে আরও যদি উল্টে আর একটা পেয়ে যাই। তাই বৃষ্টি আসলে প্রকৃতি একটু বেশি সুন্দর হয়ে যায়। তাই সে সময় হওয়া মুহূর্তগুলো আমাদের কাছে আরোই আবেগী হয়ে দাঁড়ায়।
- প্রথম স্মৃতি
ছোটবেলায় বৃষ্টির স্মৃতিগুলো আমি কোনদিনও ভুলতে পারবো না। ঝড় বৃষ্টি হলে আমাদের বাড়ির পিছনে যে বড় আম গাছটা ছিল, সেখান থেকে আম পড়তো। আর আমরা বস্তা নিয়ে দৌড় দিতাম গাছের দিকে। আমার দাদা দিদিরা সবাই মিলে আম কুড়তো। আর ওদিক থেকে দাদু আর ঠাকুমা ভীষণ জোরে জোরে চেঁচাতো। আর চিৎকার করে বলতো তোরা ফিরে আয়। কারণ ঝড় বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ চমকালে যদি কোন ক্ষতি হয়, এ কারণে ওরা চিন্তা করত। আমি এখনো মনে করতে পারি, আমাদের বাড়িতে তখন বৃষ্টি হলে কারেন্ট থাকত না। তখন বাড়িতে ইনভার্টার ছিল না। তাই আম পড়লে সেই শব্দটা পুরোপুরি কানে আসতো।
ওই ঝড়ের মধ্যে ছাতা মাথায় করে অথবা গামছা মাথায় করে দাদা দিদিদের নিয়ে আমগুলোতে যাওয়ার এই আনন্দ অন্য কোন আনন্দের সাথে তুলনা করা যাবে না।। এই আনন্দ আর ফিরে পাওয়া যাবে না। এ আমার কাছে এক মূল্যবান স্মৃতি। বারবার ওই মুহূর্তগুলো মনে পড়লে আমি সত্যিই অনেক মিস করি।
- দ্বিতীয় স্মৃতি
আমি বৃষ্টিতে ভীষণ ভিজতে ভালোবাসি। ইচ্ছা করে কতবার যে ভিজি তার নেই ঠিক। ভগবানের দয়ায় আজ অব্দি বৃষ্টির কারণে আমার শরীর খারাপ করেনি। আমার পার্টনার সেটা জানে। একবার ওর সাথে আমি একটা ক্যাফেতে দেখা করতে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ওই ক্যাফে টা আর নেই। যখন ওর সাথে বসে চা খাচ্ছি, ক্যাফেতে। বাইরে তখন ঝমঝম করে বৃষ্টি। ঝড়, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, আর তার সাথে প্রবল বৃষ্টি। দুজনেরই খুব ইচ্ছা হল একটু ভেজার। দৌড়ে গিয়ে দুজন মিলে ভিজেও নিয়েছিলাম। পুরোপুরি ভিজে গিয়েছিলাম। ওর সাথে ভেজার মজাই আলাদা ছিল। আমরা যখন ভিজছিলাম তখন, ক্যাফের একজন স্টাফ আমাদের ছবি তুলে দিয়েছিল। সেই ছবিটাও আজকে শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে।।
যে মুহূর্তের আমি স্মৃতিচারণা করলাম ,সেটা ২০২৩ সালের মে মাসের। ওই সময়টা আমাদের পড়াশোনার চাপ সত্যিই অনেক কম ছিল। অনেক চিন্তা মুক্ত ছিলাম আমরা দুজন। ওরকম ভাবে ওর সাথে তারপর আর কোনদিনও ভেজা হয়নি। সত্যিই খুব মজা হয়েছিল পাগলের মত ভিজতে পেরে। তাই সেদিনকার মুহূর্তটাও আমি অনেক মিস করি।
- তৃতীয় স্মৃতি
আমি যখন কলকাতায় পড়াশোনার কারণে মেসে ছিলাম। বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দগুলো প্রচন্ড উপভোগ করেছি। আমার বান্ধবীদের সাথে বৃষ্টিতে ভিজেছি প্রচুর মেস বাড়ীর ছাদে। বৃষ্টি হলেই আমরা সবাই মিলে ছাদে গিয়ে আনন্দ করতাম। একবার তো বৃষ্টির মধ্যে আমাকে চ্যাং দোলা করতে গিয়ে আমার দুই বান্ধবী আমাকে দুম করে ফেলে দিয়েছিল। সেই কোমরে ব্যথা কিন্তু অনেক দিন ছিল। এই স্মৃতি কখনোই ভোলার নয়। সেদিনের একটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।
কলকাতা আমার বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই তিন ঘন্টা রাস্তা। এত দূরে গিয়েও মেস বাড়ীতে আমার খুব কাছের কিছু বান্ধবীদের পেয়েছিলাম। তাদের সাথে সময় গুলো এমন করে কাটতো যে আমি বাড়ির কথা মাঝেমধ্যে ভুলে যেতাম। বৃষ্টির এই স্মৃতিটা বারবার আমাকে ওই আনন্দের মুহূর্তটা মনে করিয়ে দেয়। মনে করিয়ে দেয় একটা অচেনা জায়গায় গিয়ে কত অপরিচিত মানুষজন পেয়েছিলাম এবং তাদের মধ্যে কিছু জন এতটা কাছের হয়ে গিয়েছিল। আমি সত্যিই ওদের খুব মিস করি মাঝে মাঝে।বিশেষ করে হাবিবা কে।
আশা করছি আমার অংশগ্রহন আপনাদের সকলের ভালো লাগবে। এতো সুন্দর বিষয় কেন্দ্রিক কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে আমি তিন জনকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই - @ikwal , @ahp93 , @onomzy001 .
ধন্যবাদ
کیا کوئی اتنی خوبصورت فوٹوگرافی نہیں کر سکتا یار اس کی
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit