নিলয়ের জন্মদিনে

in hive-120823 •  2 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি একটা জন্মদিনের সেলিব্রেশন এর মুহূর্ত ।যদিও এই জন্মদিন এর সেলিব্রেশানের সময় আমি হাজির ছিলাম না ।না দুপুরবেলায় উপস্থিত ছিলাম, না সন্ধ্যাবেলায়। যখন কেক কাটিং হয় তখনও উপস্থিত ছিলাম না।

1000277989.jpg

আসলে আমার পড়াশোনার কারণে আমি ঠিক টাইমে পৌঁছাতে পারিনি। আমার স্যার বাড়িতে পড়াতে এসেছিলেন, তার আগে আমার ভাইয়েরও পড়া ছিল, এ কারণে কেক কাটিং এর সময় আমরা কেউ থাকতে পারিনি। এমনকি দুপুরেও আমি যেতে পারিনি। তাই রাতে ৮.৩০ এর পর গিয়েছিলাম।

এবার বলি কার জন্মদিন ছিল। আপনারা হয়তো আমার পোস্টে অনেকবার দেখেছেন একটা ছোট্ট বাচ্চা ছেলেকে। ওর নাম নিলয়। নিলয়কে নিয়ে আমি যে এই প্লাটফর্মে অনেকবার পোস্ট করেছি ,তা আমার পুরনো পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যাবে।

1000277990.jpg

ওর ছিল এবারে চার বছরের জন্মদিন। দাদা যেহেতু বাইরে থাকে ,তাই ভেবেছিল এবারে জন্মদিন করবে না।। নিলয় আমার পিসতুতো দাদার ছেলের ছেলে। মানে আমার ভাইপো হয় বলা যেতে পারে।

20250710_215559.jpg

যাইহোক, ওরা জন্মদিন না করতে চাইলেও বাড়ির সবাই মিলে জোর করছিল। আসলে ১৯ বছর পর বাচ্চাটা হয়েছে। তাই বাচ্চাটা সকলের অনেক আদরের। ওর জন্মদিনের আগে ওর বাবা চলে আসে এবং ডিসাইড করা হয় জন্মদিনটা ছোটখাটো করে হলেও সেলিব্রেট করা হবে।

সেই মতো ওর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য স্যার চলে যাওয়ার পরে তৈরি হয়ে নিলাম। ভেবে ভেবে বুঝতে পারছিলাম না কোন জামা করব। অবশেষে বেশ অনেকদিন আগেকার একটা জামা বার করলাম। নিজের শহরে আমি খুব একটা ওয়েস্টার্ন পড়তে পছন্দ করি না। বাবাও একটু মুখ গোমরা করে, এ কারণে বেশিরভাগ সময় এথনিক পড়ে থাকি নিজের শহরে।
কিন্তু হঠাৎ করে খুব এই জামাটা পড়তে ইচ্ছা করলো বলে বার করে রেডি হলাম।। এটা ওয়েস্টার্ন হলেও খুব একটা বেশি শর্ট নয়।

20250710_215159.jpg

যাইহোক রেডি হওয়ার পরে বাবাকে ফোন করতে লাগলাম। বাবা ছিল না তখন বাড়িতে। আসলে গুরু পূর্ণিমা ছিল বলে, বাবা ওনার গুরুজীকে করতে গিয়েছিল।
অনেকক্ষণ ওয়েট করতে করতে তারপরে বাবা আসলো ।আর যখন ওয়েট করছিলাম ,ওই সময়ে আমি নিজের অনেকগুলো ছবি ঈশানকে দিয়ে তুলে নিলাম ।ঈশান কিন্তু দারুণ দারুণ ছবি তোলে । সেদিন কেও খুব ভালো ভালো আমার ছবি তুলে দিয়েছে।

20250710_215741.jpg

যাইহোক বাবা আসার পরে আমরা সবাই পিসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পিসির বাড়ির পাশেই দাদার বাড়ি, এটা বড় পিসির ছোট ছেলে। ওর বাড়িতে যেতে ৫ মিনিট লাগলো। পৌঁছে সোজা চলে গেলাম নিলয়ের কাছে।।

নিলয় এর জন্য জন্মদিনে একটা স্কুল ব্যাগ কিনেছিলাম ।কারণ ও স্কুলে যেতে শুরু করেছে। বাচ্চাদের যে স্কুল হয়, সেই স্কুলগুলোতে। তো ওর জন্য ব্যাগ কিনেছিলাম ,এ কারণেই। হাতে দেওয়ার সাথে সাথে ও খুলে সেটা দেখতে লাগলো ।যেহেতু কার্টুনের ছবি ছিল, তাই ওর বেশ পছন্দ হয়েছিল। তারপর ওর সাথে আমরা অনেক ছবি তুললাম। বাবুকে যেভাবে দাঁড়াতে বলছিলাম ,ও সেভাবে পোস্ দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল।

20250710_215342.jpg

দাদা বৌদিরও কিছু ছবি তুলে দিলাম ওর সাথে। তারপর মায়ের ডাকাডাকিতে নিচে নামতে হলো খাবার জন্য। দাদা বেশ ভালই লোকজন নিমন্ত্রণ করেছিল। বাড়ির সবাইকে নিয়ে এবং পাড়ার কিছু জনকে নিয়ে মোটামুটি আশি জন হবে। আমার পছন্দের ফ্রাইড রাইস চিকেন হয়েছিল ,এ কারণে আমি খুব খুশি হয়েছি। খাওয়া দাওয়ার পরেও নিলয়ের সাথে অনেকক্ষণ ধরে খেলা করছিলাম।

20250710_215330.jpg

বৌদি অনেকবার চেষ্টা করছিল ওকে নিয়ে সুন্দর সুন্দর পোস্ দিয়ে ছবি তুলবে ,কিন্তু বেটা এত দুষ্টু, কিছুতেই ওর মাকে ছবি তুলতে দিচ্ছিল না।। ওর মা চাইছিল ওকে ওপর দিকে উঁচু করে কোলে নিয়ে ছবি তুলবে, কিন্তু ও বার বার মায়ের কোলে বসে পড়ছিল। আর আমাকে যতবার দেখছিল জড়িয়ে ধরেছিল। বাচ্চারা যত দুষ্টুমি করে, তত ধরে নিতে হবে বাচ্চা সুস্থ আছে। আর নিলয় যে সুস্থ আছে, সেটা ওর দুষ্টুমি দেখেই বোঝা যায়।

20250718_213414.jpg

যাইহোক ঠিকভাবে দুপুরের সন্ধ্যেবেলা সময় না দিতে পারলেও, যেটুকু সময় নিলয়ের সাথে ছিলাম, অনেক মজা করেছি। সবগুলো মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগলো।আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...
Loading...

SPOT-LIGHT TEAM: Your post has been voted on from the steemcurator07 account.

Thank you for your valuable efforts! Keep posting high-quality content for a chance to receive more support from our curation team.

1000006091.png


নিলয় কে জানাই জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা অভিনন্দন। সেদিন অত রাত্রি বেলায় তোমাদের বেরোতে দেখে আমিও অবাক হয়েছিলাম পরে জানতে পেরেছিলাম তুমি নিলয়ের জন্মদিনে গিয়েছিলে। বাচ্চাদের জন্মদিনে গেলে সত্যিই ভীষণ আনন্দ হয়, ওদের দুষ্টুমি দেখতে দেখতেই মন ভরে যায়। অনেক বাচ্চারাই রয়েছে ছবি তুলতে একদমই লজ্জা পাই। বিনয়ের মা নিলয় কে নিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করেছে অনেক রকম ভাবে কিন্তু ও তুলতে যাইনি। যাইহোক কেক কাটার মুহূর্তটা সকলে মিলে খুব আনন্দ করে সেলিব্রেশন করেছ। এই মুহূর্তগুলোই সকলের জীবনে স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।