নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি মেহেন্দি বিষয়ক সমস্ত কিছু।
যারা আমার পোস্ট অনেক আগে থেকে পড়েন ।তারা জানবেন আমি মেহেন্দি মাঝেমধ্যেই করে থাকি। মেহেন্দি পড়তে আমার যেমন ভালো লাগে, ঠিক তেমন ভালো লাগে কারো হাতে মেহেন্দি করতে ।আসলে ডিজাইনগুলো করলে একটা আলাদা রকম শান্তি পাওয়া যায়। এই ধরনের শিল্পকলা বরাবরই আমার মনকে অনেক ঠান্ডা করে দেয়। আর এই সুবাদেই আমার বারবার মনে হয় মেহেন্দি করতে থাকি।
একনাগারে বসে বসে প্রায় ১০ জনের হাতে মেহেন্দি করে দিয়েছি। বাড়িতে কখনো কোন অনুষ্ঠান বাঁধলে আমার উপরই দায়িত্ব পড়ে যায় মেহেন্দি করানোর। আর আমি বসে বসে এক একজনের হাতে এক এক রকম ডিজাইন করে প্র্যাকটিস করতে থাকি। যদি বলেন ,কার কাছ থেকে শিখেছি, তাহলে বলতে পারি একদম গর্ব করে যে, এ শেখা আমার নিজের শেখা। কোনদিনও কারো কাছ থেকে এসব নিয়ে কিছু শিখিনি। একা একাই কিভাবে যেন ডিজাইনগুলো মাথা থেকে বার হয়।
সব থেকে ভালো লাগে রাউন্ড ডিজাইনগুলো। আমার মনে হয় যদি হাতের রং ঠিকভাবে না ফুটে বের হয়, তাহলে মেহেন্দি ভালোভাবে ফুটে ওঠে না। মানে আমি বলতে চাইছি যে, মেহেন্দিটা হতে হবে এমনই ,যেন কিছুটা আপনার হাতের ত্বক ও দেখা যায়। পুরোপুরি ভরাট ভাবে করলে হাতের স্কিন কিন্তু সেরকম দেখা যায় না। আর তাতে করে মেহেন্দিটা অত বেশি চোখে লাগে না।
বরঞ্চ দূর থেকে কেমন যেন হিজিবিজি লাগে।আর আপনি যদি একটু ফাঁকা ফাঁকার ওপর মেহেন্দি ডিজাইন গুলো করতে পারেন ,তাহলে মেহেন্দিটা ফুটেও বার হয়। আর ডিজাইনটাও খুব সুন্দর চোখে পড়ে। এই কারণেই হাতের মাঝখানে রাউন্ডের ওপর ডিজাইন টা আমার খুবই পছন্দ। আমি যখনই নিজের হাতে মেহেন্দি করি, ওই ডিজাইন ছাড়া মেহেন্দি করতে পছন্দ করিনা।
ছোটবেলা থেকে এই মেহেন্দি যতবার করেছি ,ধীরে ধীরে বুঝতে পারছি ডিজাইনগুলো আরো পারফেক্ট হচ্ছে। এই জন্যই হয়তো বলে, প্র্যাক্টিস মেক্স পারফেক্ট। আমার নিজের অজান্তেই আমি কখন যে এ রকম ভাবে মেহেন্দি করা শিখে গেলাম, আমি সেটাই কল্পনা করি মাঝেমধ্যে।
মায়ের কাছে গল্প শুনেছি যখন মায়েরা ছোট ছিল, তখন নাকি মেহেন্দির পাতা বেটে আঙ্গুলের উপরের জায়গাটা ওরা মাখিয়ে রাখত। আর হাতের মাঝখানে গোল করে মেহেন্দি পাতা রেখে দিত। তারপর শুকিয়ে গেলে তুলে ফেললেই দুর্দান্ত কালার হত ।আর সেটা নাকি প্রায় এক মাসের সময় জুড়ে থাকত। আর এখনকার মেহেন্দির ব্যাপার-স্যাপার আলাদা। আমি তো আজ অব্দি মেহেন্দি গাছও দেখলাম না। দোকান থেকে ওই কাবেরী মেহেন্দি কিনে আনি, আর সে তো এক সপ্তাহও থাকে না।
যাইহোক আজকে মেহেন্দি নিয়ে কিছু কথা লিখে ফেললাম ,আর সাথে শেয়ার করলাম আমার করা কিছু ডিজাইন ।এর মধ্যে কোন ডিজাইনটা আপনাদের ভালো লাগছে ,অবশ্যই জানাবেন।