নমস্কার বন্ধুরা,

জমিয়ে রাখার পেছনে মূল ধারণাটি হলো — ফোটন, অর্থাৎ আলোর কণাকে এমন এক পরিবেশে প্রেরণ করা, যেখানে তার গতি ধীর হয়ে যায় অথবা সে সাময়িকভাবে 'স্থির' হয়ে পড়ে।সাধারণভাবে আলো সব সময় আলোর বেগে চলে, প্রায় ৩ লক্ষ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে।কিন্তু বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে,এখন এমন কিছু মাধ্যম তৈরি হয়েছে যা আলোকে এই গতিময় অবস্থা থেকে ‘স্থবির’ করে তুলতে পারে।

যেমন, বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট (BEC) একটি বিশেষ ধরণের পদার্থ যা অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় তৈরি হয় এবং এতে আলো প্রবেশ করলে ফোটনের গতি প্রচণ্ডভাবে হ্রাস পায়।এটি প্রমাণ করে যে, আলোকে শুধুমাত্র চলমান তরঙ্গ হিসেবে নয় বরং একটি তথ্যবাহী কণা হিসেবেও ব্যবহার করা যায় যা জমিয়ে রাখা সম্ভব।

এই আলোক কণা জমিয়ে রাখার প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিকরা কোয়ান্টাম তথ্য সংরক্ষণে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধন করছেন।উদাহরণস্বরূপ, আলোর কণাকে একটি বিশেষ অবস্থায় ধীর করে ফেলা হয় এবং সেই অবস্থায় ফোটন তার কোয়ান্টাম অবস্থা বজায় রেখে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করে।পরবর্তীকালে সেই ফোটন পুনরায় মুক্ত করে দিলে, এটি পূর্ববর্তী অবস্থার সকল তথ্য বহন করে বেরিয়ে আসে।একে বলা হয় reversible light storage বা quantum memory।এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি তৈরি করা সম্ভব, যেখানে আলোর মাধ্যমে সুপারসonic গতিতে তথ্য আদান-প্রদান হবে, এমনকি ইন্টারনেট অব কোয়ান্টাম কম্পিউটার গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

এছাড়া, ফোটন জমিয়ে রাখার মাধ্যমে quantum entanglement তথা ফোটনের জোড়া অবস্থা সংরক্ষণ করে রাখা যায় যা সুদূরবর্তী স্থানে কোয়ান্টাম সিকিউর যোগাযোগ নিশ্চিত করতে পারে।এই ধরনের প্রযুক্তি বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণাগারে যেমন নাসা, হার্ভার্ড, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ইত্যাদিতে পরীক্ষাধীন।অর্থাৎ, আলোক কণা জমিয়ে রাখার ধারণা শুধু একটুখানি বৈজ্ঞানিক কৌতূহল নয় বরং এটি এক নতুন যুগের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা প্রযুক্তি যা তথ্য, শক্তি ও সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা এনে দিচ্ছে আমাদের হাতে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

|| Community Page | Discord Group ||

---

_{Posted using SteemPro Mobile}

PUSS COIN:BUY/SELL