নারিকেল পাতার তৈরি ঘরিটা সুন্দর ছিলো! না ছিলো সময় না ছিলো সময় এর চিন্তা। আপনাদের কি মনে পড়ে শৈশবে আপনি কিংবা আমি নারকেল পাতা দিয়ে ঘড়ি তৈরি করেছিলাম এবং সেই ঘড়ি হাতে পড়ে বাড়ির সবাইকে দেখিয়েছিলাম। সেই সময় গুলোর কথা চিন্তা করুন, সে সময়ে আমাদের তেমন কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না, না ছিল কাঁধে কোন দ্বায়িত্ব ছিলো, না ছিলো এই জীবনের যত ধরনের মায়াজাল শুধুমাত্র শান্তি ছিল চারপাশে।
সেই সময়টাতে আমরা সময়ের মূল্যটা বুঝতে পারতাম না। কিংবা সেই সময়টাই ছিল আমাদের জন্য রঙিন। সেই সময়ে শুধুমাত্র দুই একটি কাজ ব্যতীত আর কোন কাজ ছিল না। শুধুমাত্র বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেওয়া খেলাধুলা করা পড়াশোনা করা এবং বাবা-মায়ের কথা মত চলা এতটুকুর মধ্যেই আমরা সবাই সীমাবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু সেই সময়টাই আমাদের সকল সোনালী সময়ের থেকে বেশি রঙিন বলে মনে হয়।
নারকেল পাতার ঘড়ি ছেড়ে যখন সত্যিকারের ঘড়ি হাতে পড়া শুরু করলাম তখন থেকেই জীবনটা কেন জানি পরিবর্তন হয়ে গেল। পরিবর্তন হয়ে গেল সেই সোনালী সময় গুলো। ব্যস্ততার মুখে আমরা সকলেই একটি রোবটের মত কাজ পরিচালনা করতে থাকলাম। একটার পর একটা ইভেন্ট, একটার পর একটা কাজ জীবনে বহুমুখী সমস্যা এবং সেই সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে বেড়ানো আমাদের আনচান করা এই মন। কতই না ভালো ছিল সেই সময় গুলো যদি একবার ফিরে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো এই জীবনটাকে নতুন করে গুছিয়ে নিতে পারতাম।