গল্প :- দুই দাদি শাশুড়ির সুন্দর সুন্দর কথা।

in hive-129948 •  9 hours ago 

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।


grandma-1185687_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব দুই দাদি শাশুড়ির মুখে সুন্দর সুন্দর কথা। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে দুই দাদি শাশুড়ি একত্রিত হলেন। আর দুই জনে বৃদ্ধ হয়ে গেলেন এবং তাদের হাতে আছে লাঠি। একজন আমার হাজবেন্ডের বাড়ির মধ্যে দাদী অন্যজন আত্মীয় হয় দাদি শাশুড়ি। তারা দুইজন একদিন বিকেল বেলা আমাদের ঘরে একত্রিত হলেন। যদিও তারা লাঠি দিয়ে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। তবে তাদের কথাগুলো শুনে বেশ ভালো লাগলো। তারা কথাগুলো বলতে বলতে পান খাচ্ছে এবং পুরনো অনেক কথা তুলে ধরতে লাগলো। একজন একজনের ছেলে-মেয়ের নাম ধরে ডাকাডাকি করতে লাগলো।

এক দাদি শাশুড়ি বলতে লাগলো ইসমাইলের মা কথাগুলো বুঝলে নাকি। আর অন্যজন বলতে লাগলো খতিজার মা বলে কথা বলতে লাগলো। তবে তারা দুইজন স্বামীর বাড়িতে একই বছরে আসলেন। এবং তাদের বিয়ে হয়েছে নাকি ১২ বছর বয়সে। আর আমাকে বলতে লাগলো নাতি বউ ১২ বছর বয়সে আমরা স্বামীর বাড়িতে আসলাম। কখনো স্বামীর সাথে এবং পরিবারের সাথে ঝগড়া করি নাই। খাওয়া দাওয়া খেয়েছি কখনো বা না খেয়ে সংসারের কাজ করেছি। আর এখন বউরা কাজ করতে চাই না। সারাক্ষণ হাতে মোবাইল নিয়ে টিপাটিপি করে। আর সারাক্ষণ বলে শরীরের শক্তি নেই। কাম কাজ করতে মন চাই না।

আবার অন্য জনে বলে ইসমাইলের মা আমরা কত ধান ঢেঁকির মধ্যে ভেঙে চাউল করেছি। এবং ছেলে মেয়ে ছিল ৭-৮ জন। সবগুলো দেখাশোনা করেছি। আরো আমাদের গরু ছাগল সব ছিল। ১২ মাসে আমাদের জমিগুলোর মধ্যে চাষ করা হতো। আর ওই সময় আমাদের অসুখ বলতে কিছুই ছিল না। এবং আমার নাতির ওয়াইফ আসার পর থেকে বলতে লাগে তার শরীর ভালো না। কখনো তার মুখে আমি শুনে নাই একটা দিন সেই সুস্থ আছে। কিন্তু ঘরে কোন কাজও ঠিকমতো করেনা। সারাক্ষণ মোবাইল দেখে আর হাসবেন্ডের সাথে মোবাইলে কথা বলে। এই কথা বলতে বলতে তারা শুধু পান খেতে লাগলো।

একজনের নাম হচ্ছে ইসমাইলের মা অন্যজনের নাম হচ্ছে খতিজা এর মা। যদিও তাদের নাম হচ্ছে অন্যটি। তবে এই নাম বলে একজনকে একজন কথা বলতে লাগলো। মজার বিষয় হচ্ছে দুইজনের দাঁতগুলো এখনো সবগুলো আছে। এবং দাঁতগুলো দিয়ে সবকিছু খেতে পারে। আর বর্তমানে দেখা যায় বেশিরভাগ মানুষের দাঁতে সমস্যা। তবে দুইজন একটু কানে কথা কম শুনে। কথা বলতে লাগলে একটু বড় করে বলতে হয়। আমাকে বলতে লাগলো হাজবেন্ডের সাথে কিভাবে চলাফেরা করতে হয়। কারণ হাজব্যান্ড খুশি থাকলে সংসার আর কোন শান্তি নেই। দাদা শাশুড়ি দুইজন আরো আমাকে টিপ দিতে লাগলো। সব সময় হাজবেন্ডের সাথে হাসি খুশি কথা বলার জন্য।

একজন বলতে লাগলো আমার হাজব্যান্ড আমার আগে একটি বিয়ে করেছিল। দুটি ছেলে মেয়ে থাকা অবস্থায় তার কাছে আমাকে বিয়ে দিয়েছেন। তার সাথে আমি সব সময় হাসি খুশি কথা বলতাম বিধায় আমাদের সংসার সুখী ছিল। এই কথা বলে একজন অন্যজনকে সাক্ষী করতে লাগলো। তবে আমি তাদের কথাগুলো শুনে বেশ ভালোই লাগলো। কারণ প্রতিটি কথার মধ্যে আলাদা আলাদা মধুরতা আছে। তবে তারা এখনো তাদের হাজব্যান্ডকে মিস করে। যদিও তাদের হাজবেন্ডগুলো অনেক আগে মারা গেল। এবং আমার হাজব্যান্ড কে দেখে বলে নাতি বউ কেমন তোমার। আমার হাজব্যান্ড বলতে লাগল সেইরকম দেখতেছেন এইরকমই। এই কথা বলে আমাকে একবার দুষ্টামি করতে লাগলো। একবার আমার হাজবেন্ডের সাথে দুষ্টামি করতে লাগলো।

তাদের দুই দাদি শাশুড়ির কথা শুনে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে দুইজনকে আমি বললাম আমাদের ঘরে একদিন বেড়ানোর জন্য। তবে তারা বলতে লাগলো অন্য কোন সময় আসবে বেড়ানোর জন্য। তবে সব সময় হাজবেন্ডের উপর সম্মান রাখতে হবে এবং তার যে কোন কাজ সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাহলে কখনো সংসারে অশান্তি আসবেনা। আর নিজে না খেয়ে হাজবেন কে প্রথম খাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে তোমাদের সংসার গুলো সুখে হবে। তবে আমার হাজব্যান্ড দাদি শাশুড়ির দুটি সাথে দুষ্টামি করতে লাগলো। সত্যি ওই দিন তাদের মুখের কথাগুলো শুনে অনেক ভালো লাগলো। এই হচ্ছে দুই দাদি শাশুড়ির সুন্দর সুন্দর কথার কাহিনী।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjde9gvbjDSDFUe2t87sHycAo9yh4cXNBQ2uKuZLC2jPzA8Qx5HRSqkJDxCm2F1P...XMCuWWrUK8WEzc1spvbtGymKcxp9cSaiY7YD7nmGv2yy3TJjQK1R5Bx6mMsJqHLdPZ4gBXB1M3ZGWR3ESWZxh8hd9tvb68pfdL8xHrioiqDnHuRUqd8FYt5aog.png

ধন্যবাদ সবাইকে

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

Screenshot_2025-07-20-20-41-44-960_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-20-20-40-03-009_com.twitter.android.jpg

Screenshot_2025-07-20-20-38-16-308_com.twitter.android.jpg