কলেজ বিদায়

কোথায় আছে যার শুরু আছে তার শেষও আছে।। দেখতে দেখতে অনার্স জীবন একদম শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।। আগামী ৮ই জুলাই ফাইনাল পরীক্ষা শুরু।। তাই কলেজ শেষ বিদায় একটু ভালোভাবেই করার জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে প্রোগ্রাম করি।। অনেক কল্পনা জল্পনার পর গত ২৪-০৬-২৮ তারিখে আমরা আনন্দের সাথে সেটি উদযাপন করি।।

এটা করতেও আমাদের বেশ কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে কারণ সকল বন্ধুদের নাম্বার ম্যানেজ করা তার উপর টাকা উঠানো সবমিলিয়ে বেশ কিছুটা ভোগান্তি পাওয়াতে হয়।। অবশেষে সবকিছু সুন্দরভাবে গুছানোর পর আমরা আয়োজনটা করি।। সেই সাথে আমাদের শিক্ষকদের কেও আমরা আমন্ত্রণ জানাই। তাদের জন্য আমরা আজ এ পর্যায়ে এসেছি, আর যেহেতু এটা আমাদের জীবনে শেষ বিদায় তাই স্যারদের সঙ্গে আমরা খুব চমৎকার ভাবে সেটি উদযাপন করি।

১১ টার পরে আমাদের আয়োজন শুরু হয়, প্রথমে শিক্ষকরা খুবই চমৎকার কিছু আলোচনা করেন এবং আমাদেরকে অনেক মূল্যবান কিছু কথা বলেন। যেটি তারা বারংবার বলেছেন এবং শেষবারও আরো কিছু কথা আমাদের বলেন যা আমাদের অনেক অনুপ্রেরণায় আসে।।

স্যারদের অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য শেষ হওয়ার পর আমরা খাবারের ব্যবস্থা করি এবং সকলে মিলে একত্রিত হয়ে খাবার খাওয়া শেষ করি। পরে আমরা আমাদের আয়োজনটি শুরু করি।। মূলত আমরা সবাই মিলে একত্রে অনেকটা সময় অতিবাহিত করব সেই জন্য বক্সের আয়োজন করি এবং গানের তালে তালে সবাই ডান্স করতে থাকি।।

বন্ধুরা মিলে একসাথে আনন্দ করার মধ্যে এক অন্যরকম ভালোলাগা লুকিয়ে থাকে।। আমরা প্রায় ৫০ জনের মত একত্রিত হতে পেরেছি।। সবাই সবার মন্তব্য প্রকাশ করেছি, এদিকে আনন্দ করতে ছিলাম অন্যদিকে খারাপ লাগাও কাজ করতেছি।। কারণ এটাই আমাদের অনার্স জীবনের শেষ আনন্দ আর কখনো চাইলেও এভাবে সবাই একত্রিত হতে পারব না, আনন্দ করতে পারবো না।।

আমরা অনেক সময় অনেক কিছু চাইলেও করতে পারিনা কারণ সেটি করার সময় আমাদের হাতে থাকেনা। আমরা বন্ধু ও বান্ধবীরা মিলে একত্রিত হয়েছি আর কখনো এভাবে আনন্দ করতে পারব না। পরীক্ষা শেষ হলে আমরা সবাই যার যার কর্মস্থল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বো।। সবাই যার যার জীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করব হয়তো প্রয়োজন ছাড়া কেউ কারো সাথে সেই ভাবে কথা হবে না।। এগুলো সব কিছু মনের মধ্যে যেন উঁকি দিচ্ছে কিন্তু কি করার বাস্তবতা তো মানতে হবে।।

আমরা প্রায় পাঁচটা পর্যন্ত সেখানে থাকি এবং আনন্দ করতে থাকি সকলে মিলে।। যখন শেষ পর্যায়ে আসি তখন অনেক বেশি খারাপ লাগতেছিল। আর চোখের কনায় যেন পানি এসে জমে। চারটি বছর এদের সাথে অতিবাহিত করলাম আর এটাই আমাদের এভাবে শেষ দেখা। সত্যি এই মুহূর্তটা অনেক বেশি কষ্টের।

পরে আমরা শেষ মুহূর্তে সবাই সবার সাথে কথা বলে বিদায় নেই।। তারপর সকলে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।। বন্ধুদের সাথে এভাবে আনন্দে অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল।। দিনটি আমাদের প্রতিটি বন্ধুদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে।।